নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
রবিবার,১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮: নরসিংদীর চরাঞ্চলে বসত ভিটার জমি বিক্রি না করায় এক দিনমজুরের বাড়ী হামলা ভাংচুর চালিয়েছে দুবৃত্তরা। অগ্নি সংযোগ করেছে গোয়ালঘর সহ কয়েকটি বসতিতে। শুধু তাই নয় বাড়ী বিক্রি না করায় অসহায় পরিবারটিকে অবরোদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাড়ীতে আসা-যাওয়ার প্রবেশ পথ। স্কুলের ক্লাশে ডুকতে দেয়া হচ্ছে না ওই বাড়ির শিক্ষার্থীদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসব ঘটনার নেপথ্যে নায়ক হিসেবে অভিযোগের তীর উঠেছে সাবেক চেয়ারম্যান,বিএনপি নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। একটি কলেজের জমি ক্রয় কারকে কেন্দ্র এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবারটি প্রতিকার চেয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাযায়,নরসিংদীর মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের পূর্ব পুরুষের ভিটায় বসবাস করেন দিনমজুর কামাল হোসেন ও তার পরিবার। বাড়ির পাশেই নোয়াব আলী গাজী উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল রয়েছে ।
সম্প্রতি এক শিল্পপতির কাছ থেকে আর্থিক অনুদান নিয়ে স্কুলটিতে একটি কলেজ ভবন নির্মানের উদ্যেগ নেয়। জমি ক্রয় শুরু করেন স্কুল পরিচালনা কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় স্কুলের পাশ্ববর্তী স্থানে অবস্থিত দিনমজুর কামল হোসেন ও হেনা বেগমের পূর্ব পুরুষের বসত ভিটাটি স্কুল কমিটির নিকট বিক্রির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় দিনমজুর পরিবার বসত ভিটা বিক্রি করতে রাজি হয়নি। এতে নোয়াব আলী গাজী উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা বাবুলু গাজী চেয়ারম্যান তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় । এনিয়ে বেশকিছুদিন যাবৎ এলাকায় দেনদরবার চলছিল। সর্বশেষ স্কুল পরিচালনা কমিটির র্শীষ পযায়ের নেতাদের নির্দেশে হেনা বেগম ও কামাল হোসেনের বাড়ির চারপাশ বাঁশের বেড়া দিয়ে বাড়ীর লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বন্ধ করে দেয়া হয় বাড়ীতে আসা-যাওয়ার পথ। এরই মধ্যে গত শুক্রবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত কামাল ও হেনার বেগমের বাড়ীতে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। অগ্নিসংযোগ করে গোয়াল ঘর সহ কয়েককটি বসত ঘরে। নিরুপায় হয়ে অসহায় পরিবারটি পুলিশের নিকট দারস্ত হয়। হেনা বেগম বাদী হয়ে বাবলু গাজী ,শহীদ মিয়া,আবু ফারুক,ছারোয়ার মাষ্টার ,দুলাল মিয়াকে আসামী করে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ রিপোট লেখা পযর্ন্ত হেনা বেগম ও কামাল হোসেনের বাড়ীর চারপাশ বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
ভুক্তভোগী হেনা বেগম বলেন,স্কুল নির্মানের সময় ৪ শতাংশ জায়গা দিয়েছি। এখন আমাদের পুরো বাড়ী স্কুলের নামে লিখে দিতে চাপ দিচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু গাজী। এতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের বাড়ীতে হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। বাড়ির চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বাড়ীর প্রবেশ পথও বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা বাবলু গাজী। তিনি বলেন,তারাতো মাদক ব্যাবসায়ী। একাধিকবার জেল খেটেছেন। তাদের সাথে স্কুলের কোন সম্পর্ক নেই। কলেজের জন্য আমারা গ্রামের অন্য লোকজনদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি। তাদের কাছ থেকে আমরা জমি নেবো না। হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তিনি বলেন,গত মাসের ১১ তারিখের পর আমি গ্রামেই যাইনি। এসব মিথ্যে অভিযোগ।