1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

মায়ের উপর বিরক্ত না হয়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | রবিবার, ১৪ মে, ২০১৭
  • ২৯৮ পাঠক

নিউজ ডেস্ক: মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই ‘মা’ একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হিসেবে বিবেচিত। মা, মাদার, মম, মাম, আম্মা— যাই বলি না কেন, একজন সন্তানের কাছে তার মায়ের চেয়ে অধিক প্রিয় কোনও কিছুই এই পৃথিবীতে নেই। তাই যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মাকে নিয়ে কবিতা গান রচনা আজও অব্যাহত রয়েছে। পিছিয়ে নেই ভারত-ও।
কবি নজরুলের ভাষায়— ‘‘যেখানে তে দেখি যাহা/ মা-এর মতন আহা/ একটি কথায় এত সুধা নাই/ মায়ের মতন এত/ আদর সোহাগ সে তো/ আর কোনখানে কেহ পাইবে ভাই।’’
অথবা কামিনী রায়ের— ‘‘জড়ায়ে মায়ের গলা, শিশু কহে হাসি/ মা তোমারে কত ভালবাসি/ কত ভালোবাস ধন? জননী শুধায়/ “এ-ত” বলি দুই হাত প্রসারি দেখায়? তুমি মা আমায় ভালোবাস কতখানি? মা বলে মাপ তার আমি নাহি জানি/ তবু কতখানি বল, যতখানি ধরে তোমার মায়ের বুকে নহে তার পরে।’’
যে মাকে নিয়ে এত ভালবাসা, কবিতা, গান সেই মাকে স্মরণ করতে ৮ই-মে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। অভিধানের ভাষায় মা সে-ই, যিনি একজন পূর্ণাঙ্গ নারী। যিনি গর্ভধারণ করেন, সন্তানের জন্ম দেন এবং সন্তানকে বড় করে তোলেন। তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেওয়ার অধিকারিণী। গর্ভধারণের মতো জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এই সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীনভাবে গৃহীত হয়েছে।
এ কারণেই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় এবং মধুরতম শব্দটি ‘মা’। মা শুধু প্রিয় শব্দই নয়, প্রিয় বচন, প্রিয় অনুভূতি, প্রিয় ব্যক্তি, প্রিয় দেখাশুনা, প্রিয় রান্না এবং প্রিয় আদর। যতগুলো প্রিয় আছে তার সব প্রিয়ই শুধুমাত্র মাকে কেন্দ্র করেই। পৃথিবীর ইতিহাসে সন্তানের জন্মদাত্রী হিসেবে প্রাকৃতিকভাবেই মায়ের এই অবস্থান। মানব সমাজে যেমন মায়ের অবস্থান রয়েছে। পশুর মধ্যেও মাতৃত্ববোধ প্রবল। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই মা যাবতীয় মমতার আধার ও কেন্দ্রবিন্দু। তাই পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায়ই মা-এর সমার্থক শব্দটি ‘ম’ ধ্বনি দিয়ে শুরু।
মে মাসের দ্বিতীয় রোববার। অর্থাৎ সেই বিশেষ দিন। মাদার্স ডে। সারা বিশ্বের কাছে এই দিনের আবেদন একই।
মা মানেই জীবনের সেই মানুষ যে আমাদের সুখ-দুঃখ, হার-জিত্, সব সময়ের একনিষ্ঠ বন্ধু। যে মা সবচেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে, কখনও কখনও সেই মায়ের উপরই আমরা বিরক্ত হয়ে উঠি।
মা বুঝতে পারছেন না, জীবনে অনধিকারচর্চা করছেন, বাধা দিচ্ছেন— এই সব অভিযোগে মায়ের থেকে দূরে সরে যাই আমরা। আসলে মায়েরা যেমন আমাদের বুঝতে পারেন না, আমরাও অনেক সময় মায়েদের বুঝে উঠতে পারি না।

বিশ্ব মা দিবসে ভেবে দেখতে পারেন এগুলো-

মা মানে মা-ই

সন্তানের যত বয়সই হোক, যতই স্বাবলম্বী হোক না কেন মায়ের কাছে সে সন্তানই থাকে। তাই মায়েরা কখনই সেই চিন্তা থেকে বেরোতে পারেন না। রাগ, অভিমান, তর্ক, বকাবকি, কাজে বাধা দেওয়া সেই সবই আসলে সেই অপত্য স্নেহেরই প্রকাশ। তাই মায়ের উপর বিরক্ত না হয়ে উনি কেন এমন আচরণ করছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন উনিও আপনাকে বুঝতে পারবেন। কারণ, সন্তান তাকে বুঝবে এই প্রত্যাশা সব মায়েদেরই থাকে।

উপদেশ

নিজে মা হলে বুঝবি! এই কথাটা নিশ্চয়ই মায়ের মুখ থেকে শুনেছেন? বড় হয়ে যাওয়ার পর মায়ের উপদেশ শুনতে আমরা অনেকেই বিরক্ত হই। কেন সব ব্যাপারে মতামত দেয়, খিটখিট করে তা নিয়ে অশান্তি করি আমরা। ভেবে দেখবেন, মা কিন্তু তার নিজের ভাবনা অনুযায়ী সেরা উপদেশটাই দিয়ে থাকেন। এবং মায়ের অবস্থানে থেকে উপদেশ না দিয়ে হয়তো থাকাও সম্ভব হয় না সব সময়। অনেক সময়ই যা আমাদের প্রজন্মের কাছে অকেজো হয়তো। রাগারাগি না করে মাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

জীবনের অংশ

আমাদের জন্মের পর থেকে মায়েদের গোটা জীবনটা জুড়েই থাকি আমরা। সন্তানদের ভালমন্দ, তাদের বেড়ে ওঠা নিয়েই হয় তাদের জগত্। কিন্তু বড় হওয়ার পর আমাদের নিজেদের জগত্ তৈরি হয়। মায়ের থেকে অনেক সময়ই দূরে সরে আসি। মায়েরা কিন্তু আমাদের জীবনের অংশ হতে চান। আমরা যাকে মায়েদের অনধিকারচর্চা, কৌতূহল ভাবি তা আসলে আমাদের জীবন থেকে নিজের হারিয়ে যাওয়ার ভয়। তারা সব সময়ই সন্তানের জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকতে চান।

যত বয়স বাড়ছে তত কি আপনার মা একটু অবুঝ হয়ে উঠছেন? মায়ের উপর বিরক্ত না হয়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। ছেলে-মেয়েদের নিয়েই জীবনের একটা বড় সময় কেটে গিয়েছে। তাদের পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা কেটে গিয়েছে। ছেলে, মেয়েরা বড় হয়ে যাওয়ার পর অনের মায়েরা একাকীত্বে ভোগেন। যা কিছুটা বয়সের কারণে। তাই মায়ের অবুঝ আচরণে বিরক্ত না হয়ে তার একাকীত্ব বুঝতে চেষ্টা করুন।

সবচেয়ে বড় অবলম্বন

মায়েরা সব সময় আমাদের সাহায্য করতে চান। আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে ভাবনা-চিন্তায় পার্থক্য থাকার জন্য হয়তো আমরা মায়েদের সাহায্য বুঝে উঠতে পারি না। সব সময় মাথায় রাখুন আজ আপনি জীবনের যে জায়গায় পৌঁছেছেন, যা পেয়েছেন সেটা তার সাহায্য, অবলম্বনের কারণেই। এবং সেই অবলম্বন সব সময়ই আপনার সঙ্গে থাকবে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD