নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ৩ দিন পর সৈয়দ সারোয়ার জাহান জুয়েল (৩২) নামে এক যুবকের জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার কোদালকাটা গ্রামের একটি মুরগীর বর্জ্রের ভাগাড় থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শনিবার (২৭ মে) বাড়ী থেকে নৌকাঘাটা বাজারে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। নিহত জুয়েল উপজেলার ছোটাবন গ্রামের মৃত সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম রবির ছেলে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, গত শনিবার বাড়ি থেকে কয়েল আনতে জুয়েল পাশ্ববর্তী নৌকাঘাটা বাজারে যায়। কিন্তু গভীর রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। স্বজনরা মোবাইলে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পায়। তারা আশপাশে ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অনেক খোঁজা-খোঁজি করেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরদিন রবিবার চাচা সৈয়দ সামসুল ইসলাম হেকিম শিবপুর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।
বুধবার ভোরে কোদালকাটা মিলনের মুরগীর ফার্মের পিছনে ময়লার গর্তের পানিতে একটি বস্তা ভাসমান অবস্থায় দেখে এলাকাবাসী। লোকজন বস্তাটি উঠিয়ে খুলে সৈয়দ সারোয়ার জাহান জুয়েলের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুর কুদ্দুসের ছেলে আব্দুল কাদির মেম্বারকে (৬০) প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ মামলার আসামী আব্দুল কাদির মেম্বার, তার মেয়ের জামাই নরসিংদী শহরের ভেলানগর গ্রামের লিটন (৩৭) এবং ছোটাবন্দ গ্রামের আনোয়ারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ৬ মাস পূর্বে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আমার স্বামী আবদুল কাদির মেম্বারকে মারপিট করেছিল। তারই প্রতিশোধ নিতে সে আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, নিহত জুয়েলকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে চটের বস্তার মধ্যে ভর্তি করে মুরগীর বর্জ্রের ভাগাড়ে গুম করা হয়েছিল। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
# লক্ষন বর্মন