লক্ষন বর্মন,নরসিংদী:৮ দিন পেরিয়ে গেলেও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়িতে নিখোঁজ ৪ আওয়ামী লীগ নেতার হদিস মেলেনি। নিখোঁজদের স্বজনরা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, পুলিশের অভিযানে নিখোঁজরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু ৮ দিনেও সন্ধান না মেলায় তাদেরকে গুম করা হতে পারে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন। তবে পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল।
শনিবার দুপুরে বাঁশগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন নিখোঁজদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গত ২৬ মে বাঁশগাড়িতে আসামী ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০জন আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোস্তফা নামে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুপ মিয়া মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিব মেম্বার। দীর্ঘ ৮দিনেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ধরণের তথ্য ও সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ডা. আবু নাসের বলেন, ঘটনার পর প্রথম দুই/এক দিন পুলিশ স্বীকার করলেও এখন অস্বীকার করছেন। এতে তাদেরকে গুম করে ফেলার আশংকা করছেন তাঁরা। অতি দ্রুত তাদেরকে আইনানুযায়ী আদালতে পাঠানোর দাবি জানান তিনি।
নিখোঁজ রূপ মিয়া মেম্বারের স্ত্রী নাসিমা বেগম, এলাকায় পুলিশ রেট দিয়ে আমার সামনে থেকে স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন তাঁর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। আপনারা আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেন।
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য শহিদ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহের আলী, নিখোঁজ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুলের বড় ভাই হোরন আলী পুমুখ।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, রুপ মিয়া মেম্বারকে গ্রেপ্তার করার পর তার সমর্থকরা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে। বাকীদেরকেও আমরা গ্রেপ্তার করেনি। মূলত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা এই মিথ্যা দাবী তুলছে।