1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নরসিংদী জেনারেল ও ডেন্টাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে স্কুল ছাত্র মৃদুলের

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭
  • ৩৯৪ পাঠক

লক্ষন বর্মন, নরসিংদী : নরসিংদী জেনারেল ও ডেন্টাল হাসপাতালে ভুল ও অপ চিকিৎসার শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করেছে মৃদুল নামে ১০ বছরের এক স্কুল ছাত্র। আজ রোববার দুপুরে মারা যায়। দীর্ঘ ১৪ দিন চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে ‘ক্লিনিক্যাললি ডেথ’ ঘোষণা দিয়ে পিতা-মাতার কাছে ফিরিয়ে দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। শিবপুর উপজেলার ভরতেরকান্দী গ্রামের অটোচালক খোকনের পুত্র মৃদুল ভরতেরকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। মৃদুলকে গত ২৭ মে শনিবার মারাত্মক পেট ব্যথায় আক্রান্ত হলে এই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

নিহতে স্বজনদের অভিযোগ, নরসিংদীর গলাকাটা হাসপাতাল নামে পরিচিত নরসিংদী জেনারেল ও ডেন্টাল হাসপাতালের মালিক ও ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার কারনে মৃদুল অকালে মৃত্যু বরন করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা ভুল চিকিৎসার কারণে মৃদুলের পেটের ভিতরে বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান। সেখানে তার কোন চিকিৎসা চালানোর সুযোগ নেই। যে কোন সময় মৃদুল মারা যেতে পারে বলেও তারা জানিয়েছেন। রোববার দুপুরে মৃদুলের পিতা খোকন ও তার স্বজনরা মৃদুলের মৃতদেহ নিয়ে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে এসে আর্তনাদ করেন। সেখানে মৃদুলের পিতা খোকন ও অন্যান্য আত্মীয়রা কান্না জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের কাছে কসাই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের বিচার দাবী করেন। তারা বলেন, শিবপুর ভরতেরকান্দী গ্রামে তাদের বাড়ি। অটোচালক খোকন অতিকষ্টে রিক্সা চালিয়ে পুত্র মৃদুলকে ভরতেরকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করান। সে বড় হয়ে পিতার কষ্ট দুর করবেন। কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার ফলে থার অকালে মুত্যু হয়। এছাড়া ২০১৪ সালের এপ্রিলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভারসিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজী এন্ড সাইন্স এর ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ছাত্র জাহিদ হাসান ইমনের ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে ১টি অন্ডকোষ কেটে ফেলে। এর ফলে মেধাবী ছাত্র জাহিদ আজ অঙ্গ হারিয়ে দিশেহারা।
জানা যায়,গত ২৭ মে শনিবার মৃদুল মারাত্মক পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়। এর সাথে তার বমিও হয়েছে। এই অবস্থায় মৃদুলের পিতামাতা তাকে ভরতেরকান্দী বাজারে সালাম ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যায়। সেখানে তার পেট ব্যথা কমানোর জন্য ডাক্তার তাকে ব্যাথানাশক টেবলেট খাওয়ায়। এতে তার পেট ব্যথা আরো বেড়ে যায় এবং সে রক্ত বমি করতে থাকে। এই অবস্থায় ওই দিন রাতে জনৈক বাতেন দালালের মাধ্যমে তাকে সালাম ডাক্তারের পরামর্শে তারই নিজ মালিকানাধীন বেসরকারী ক্লিনিক নরসিংদী জেনারেল ও ডেন্টাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে নিয়ে যাবার পর মৃদুলকে দেখে কর্তব্যরত সার্জন ডা. আসাদ জানান যে, তাৎক্ষণিকভাবে তার পেটে জরুরী অস্ত্রোপচার বা অপারেশন করা না হলে মৃদুলকে বাঁচানো যাবে না। ডাক্তারের কথায় মৃদুলের পিতা-মাতা ২৫ হাজার টাকা রফাদফায় অপারেশনে রাজী হয়। এরপর রাতেই ডাক্তার আসাদ তাৎক্ষনিকভাবে মৃদুলকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার পেটে অস্ত্রোপচার করে সেলাই করে দেয়। পরদিন সকালে জ্ঞান ফিরার পর তার অবস্থা আরো সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মৃদুলের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকলে ডা. আসাদ ও সালাম ডাক্তারের পরামর্শে তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানায় যে, পেট ব্যাথা কমানোর জন্য এনালজেসিক জাতীয় ব্যাথানাশক ওষুধ প্রয়োগের কারণে মৃদুলের অন্ত্র বা নারী-ভূরিতে একাধিক পারপোরেশন বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। জরুরী ভিত্তিতে পুনরায় অপারেশন করা হলেও নরসিংদীতে ভুল অপারেশন ফলে তার অবস্থা জটিল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় সেলাই’র কাজে যথাযথ নিয়ম না মানায় কাটা ছেড়া জায়গা থেকেও রক্তপাত হতে থাকে। অতিরিক্ত রক্তাপাতের কারণে মৃদুল আশংকাজনকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় তার চিকিৎসা দেয়া কঠিণ হয়ে পড়ে। এরপরও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে দীর্ঘ ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ রোবার তার মৃত্যু হয়।
উলে¬খ্য যে, নরসিংদী ডেন্টাল ও জেনারেল হাসপাতালটিতে ইত: পূর্বেও কয়েকটি ভুল চিকিৎসা জনিত দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালের এপ্রিলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভারসিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজী এন্ড সাইন্স এর ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ছাত্র জাহিদ হাসান ইমনের ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে ১টি অন্ডকোষ কেটে ফেলে। এর ফলে মেধাবী ছাত্র জাহিদ আজ অঙ্গ হারিয়ে দিশেহারা। ডাক্তারের ভুলের খেসারত দিতে আজো ভর্তি আছেন ঢাকা সরোয়ার্দী হাসপাতালের ইউরোলজী বিভাগে। সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল নাসের এর তত্বাবধানে তিনি ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া ২ জন গর্ভবতী মহিলা অপারেশন করতে গিয়ে হাতুড়েপনার কারণে মারা যায়। ভরতেরকান্দী গ্রামের মেয়ে জনৈক বেনুর কন্যা ইয়াসমিন হাসপাতালে সিজার অপারেশন করাতে গেলে ডাক্তাররা পেটের ভিতরে নেকড়া রেখেই পেট সেলাই করে দেয়। এমন বহুসংখ্যক অভিযোগ রয়েছে নরসিংদী ডেন্টাল ও জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কিন্তু নরসিংদীর স্বাস্থ্য প্রশাসন এই ডেন্টাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
এব্যপারে ক্লিনিকটিকে গেলে ডাক্তার বা মালিক কাউকে পাওয়া যায়নি। কর্তব্যরতরা জানিয়েছেন, মালিক ও ডাক্তাররা বাহিরে একটি জরুরী মিটিংয়ে আছেন।




সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD