লক্ষন বর্মন, নরসিংদী প্রতিদিন : নরসিংদীর চৌয়ালা থেকে অপহরণ হওয়া ৭ মাসের শিশু সাবিকুন নাহার তোহাকে ৩ দিন পর গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেসময় এই ঘটনায় জড়িত সাবিনা আক্তার (২০) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে ৩ দিনের পুলিশী অভিযানের পর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের ডেকেরচালা এলাকা থেকে এই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
আজ বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
অপহৃত শিশু সাবিকুন নাহার তোহা নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে। আর গ্রেপ্তারকৃত সাবিনা আক্তার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের রাকিবুল হাসান রানার স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ জুন বুধবার বিকেল ৪টার দিকে নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রাকিবুল হাসান রানা ও তার স্ত্রী সাবিনা আক্তার অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পরস্পর যোগসাজসে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর টাকা না দিলে মেরে ফেলবে এই মর্মে অপহরণকারীরা শিশুর পরিবারের নিকট ১লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ঘটনার পরের দিন নরসিংদী মডেল থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা রজু করা হলে শিশুটিকে উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের জন্য সকল প্রকার আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করে পুলিশ। নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মো: মোজাফ্ফর হোসেন ও এসআই জাকারিয়া আলম ফোর্স সহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের ৩দিন পর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের ডেকেরচালা এলাকার জনৈক গাজী বিল্লালের বাড়ির ভাড়াটিয়া আসু মিয়ার কক্ষ থেকে অপহৃত শিশু সাবিকুন নাহার তোহাকে উদ্ধার করা হয়। সেসময় অপহরণের সাথে জড়িত মামলার ২য় আসামী সাবিনা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শফিউর রহমান, নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
#