1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নরসিংদী রায়পুরার বাঁশগাড়ীর লাঠিয়াল সর্দার সাহেদ সরকার গ্রেফতার, জনমনে স্বস্তি

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭
  • ২৫৫ পাঠক

নরসিংদী প্রতিদিন:সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘাটিয়ে অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চলের অশান্ত জনপদ বাঁশগাড়ীর দুর্ধর্ষ লাঠিয়ালদের প্রধান নেতা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ সরকার।
মঙ্গলবার সকালে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে সদর উপজেলার বাদুয়ারচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্রবাজী, বোমাবাজী ও চাঁদাবাজীর ২০টি মামলা রয়েছে। এই ২০টি মামলায়ই তিনি পলাতক ছিলেন। এলাকার লোকজন জানিয়েছে, পুলিশ ও আইনের চোখে পলাতক থাকলেও তিনি এতদিন প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করেছেন। বিভিন্ন কারণে পুলিশ তাকে এতদিন গ্রেফতার করতে সাহস পায়নি। উচ্চ পর্যায়ে আত্মীয়-স্বজন থাকার সুযোগ নিয়েই তিনি রায়পুরার এমপি সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে বন্দুক ও টেটা যুদ্ধে লিপ্ত হবার সাহস পেয়েছেন। সাহস দেখিয়েছেন বিশাল সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে পুলিশকে আহত করে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার। গত ২১ মে স্থানীয় এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু উভয় পক্ষকে ডেকে সালিস দরবারের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসা দেয়ার পরও তিনি সালিসি মীমাংসাকে অমান্য করে এমপি রাজু সমর্থিত চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে তার লাঠিয়াল বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়ায় এলাকায় আবারো বন্দুক যুদ্ধের আশংকায় পুলিশ মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশের বক্তব্য শোনানীর পর আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জানা গেছে, বিগত ইউপি নির্বাচনে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তৎকালীন ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের সময় আ’লীগ নেতা সাহেদ সরকারের সমর্থকরা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক সরকারের সমর্থকদের উপর হামলা করার পর চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের লাঠিয়ালারা সাহেদ সরকারের সমর্থকদেরকে এলাকা ছাড়া করে দেয়। সে সময় এলাকায় একটি হত্যাকা-ও সংঘটিত হয়। এই ঘটনার পর থেকে সাহেদ সরকারের সমর্থকরা দীর্ঘ প্রায় ১ বছর এলাকা ছাড়াবস্থায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নেয়। পরে বিগত এপ্রিল মাসে সাহেদ সরকারের সমর্থকরা নিলক্ষা, চরমধুয়াসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর এলাকা থেকে লাঠিয়াল ভাড়া করে কয়েকটি বন্দুক ও টেটা যুদ্ধের মাধ্যমে এলাকায় উঠতে সক্ষম হয়। এলাকা ছাড়া করে দেয় চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও তার লাঠিয়াল বাহিনীকে। এরপর থেকে সাহেদ সরকারের বাহিনী এলাকা দখলে নিয়ে এলাকায় ব্যাপকভাবে বোমাবাজী, অস্ত্রবাজী ও চাঁদাবাজীতে লিপ্ত হয়। লাঠিয়ালরা কয়েকশত বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। লুটে নেয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। রায়পুরা থানায় ৭টি হত্যাকান্ডসহ ৪১ টি মামলা দায়ের করা হয়। এ অবস্থায় বাঁশগাড়ী এলাকার কয়েকটি গ্রাম লাঠিয়ালদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে রায়পুরার এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সিরাজুল হক ও সাহেদ সরকারকে ডেকে বিরোধ মীমাংসা করার কথা বলে। বিরোধ মীমাংসার আলোচনা চলাকালেই সাহেদ সরকারের বাহিনী এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করলে পুলিশ লাঠিয়ালদেরকে গ্রেফতার করার জন্য এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশ সাহেদ সরকারের প্রধান লাঠিয়াল সর্দার রূপ মিয়া মেম্বার, আজিজুল, হাবিবুর ও জাকিরসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করার পর সাহেদ সরকারের বাহিনী বন্দুক, বোমা ও টেটা নিয়ে পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কয়েকটি মামলা দায়ের করে। এরপরও গত ২১ মে এমপি রাজু দুপক্ষকে ডেকে একটি সালিস দরবার করে দুপক্ষকে মিলিয়ে দেয়। বিচারস্থলে বিচার মেনে গেলেও সাহেদ সরকার ও তার লাঠিয়াল বাহিনী এলাকায় মীমাংসা মানেনি। তারা চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের লোকদেরকে এলাকায় উঠতে দেয়নি। চেয়ারম্যান সিরাজকে এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করতে দেয়নি। এই ঘটনার পর এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় পক্ষের লাঠিয়াল বাহিনীর মধ্যেই আবার সাজসাজ রব পরে যায়। এলাকা পূনরায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। যে কোন সময়ই উভয় পক্ষে বন্দুক ও টেটাযুদ্ধে আশঙ্কা দেখা দেয়। এ খবর মঙ্গলবার গ্রামীণ দর্পণে প্রকাশের পর সম্ভাব্য বন্দুক ও টেটা যুদ্ধ ঠেকাবার জন্য সাহেদ সরকারকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। সাহেদ সরকারের গ্রেফতারের ঘটনাকে শান্তিপ্রিয় জনগণ পুলিশের একটি বিশাল সফলতা বলে বর্ননা করেছে। তবে চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে গ্রেফতার করা হলে এলাকার জনগণের মধ্যে আরো স্বস্তি ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে লোকজন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সাইদুর রহমান জানান, পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশনায় বহু মামলার আসামী সরকার হাফিজুর রহমান ওরফে শাহেদ সরকারকে নরসিংদীর বাদুয়ারচর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে রায়পুরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম) জানান, বাঁশগাড়ির বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, হত্যা, বোমাবাজি, লুট, পুলিশের উপর হামলাসহ বহু মামলার আসামী শাহেদ সরকার। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD