লক্ষন বর্মন,নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদীতে দিন-দুপুরে দীপ্তি নামে এক মহিলাকে জবাই করে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। আজ শনিবার দুপুর ১২ দিকে পৌর শহরের মধ্যকান্দা পাড়া দেশপ্রিয় রোড এলাকায় এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। ডাকাতি করার উদ্যেশে দুবৃত্তরা এ হতাকান্ড ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। তবে পুলিশ বলছে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে জনশ্রোত এলাকায় এ হত্যাকান্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার লোক ঘটনাস্থলে ভীড় জমায়। হত্যাকান্ডকে ঘিরে হিন্দু অধুশ্যিত এলাকার লোকজনের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে । খবর পেয়ে থানা পুলিশ, সি আই ডি ও গোয়েন্দা পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার তিব্য নিন্দা জানিয়েছেন হিন্দু ঐক্য জোট পরিষদের নেত্রীবৃন্দ।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, নিহত দীপ্তি ভৌমিক (৪৫) মাধবদী সেকেরচরের বাবুরহাটের কাপর ব্যাবসায়ী প্রদীপ সাহার স্ত্রী। দুপুরে একটার দিকে তার ছেলে বাসায় ফিরে মায়ের জবাই করা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে হত্যা কান্ডের খবর পায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করনে।
নিহেতর ছেলে প্রিতম বলেন,সকাল সাড়ে নয় টায় পরিক্ষা দিতে স্কুলে যাই। দুপুর একটার দিকে বাসায় ফিরে। ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখে মাকে ডাকাডাকি করি। কোন সাড়া শব্ধ পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরে বিছানার উপর মা’র গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।
নিহতের মেয়ে প্রিয়া বলেন, ঘরের ভেতরে সব এলোমেলো। আলমিরা ভাঙ্গা। মনে হচ্ছে বাড়িকে ডাকাতি করতে এসেছিল। তাদের কাউকে চিনে ফেলায় মাকে মেরে ফেলে কিনা ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাবসায়ী বলেন,এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তার উপর দাড়িয়ে প্রকাশ্যে মাদকদ্যব্য বিক্রি করছে। এতে এলাকার যুব সমাজ মাদকাশক্ত হচ্ছে। আর মাদকের টাকা জোগাড়ে প্রায়ই ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।
এদিকে বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকান্ডের ঘটনার তিব্য নিন্দা জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নেতারা। হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক রঞ্জন সাহা বলেন,এলাকাটি হিন্দু অধ্যুশিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। দিন-দুপুরে হত্যাকান্ডের খবরে সকলের মধ্যে ভিতি ও আতঙ্কের সঞ্চার হয়েছে। আমরা এর সুষ্ট বিচার চাই।

সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেণ, নিহতের পরিচিতদের মধ্যেই কেউ এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
ডাকাতির বিষয় উড়িয়ে দিয়ে নরসিংদী সহকারী পুলিশ সুপার ( এ এস পি সার্কেল) মো: শাহরিয়ার আলম বলেন,হত্যার ধরন দেখে ধারনা করা হচ্ছে পরিকল্পিত হত্যা হত্যাকান্ড। ডাকাতি হলে ঘরে থাকা স্বর্নাকার সহ মূলবান জিনিস পত্র কাছে থাকলেও সেগুলো নেয়া হয়নি। তাছাড়া বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরিস্কার ভাবের বলা যাবে।