নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদী সদর হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে হাসপাতাল এলাকা থেকে দালাল সন্দেহে ৭ নারীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতাল দালালমুক্ত হলে চিকিৎসা সেবার পরিবেশ উন্নত হবে।
আটককৃতরা হলো, শহরের সাটিরপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আসলাম মিয়া (৫২), সুনিলের স্ত্রী সাবর্তী (৪০), মৃত দিলীপ দাসের স্ত্রী ভবানী রাণী দাস (৪০), মোখলেছের স্ত্রী রিনা বেগম (৩০), ঘোষপাড়া এলাকার অকন বিশ্বাসের স্ত্রী মনি রাণী শিল (২৭), দত্তপাড়া এলাকার মোখলেছের স্ত্রী শিমু (৩২), ফারুক মিয়ার স্ত্রী লুভনা বেগম (২৫) সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া এলাকার কাইয়ুমের ছেলে পাবেল (২৯) ও শান্তিরভাওলা গ্রামের বাছেদ মিয়ার স্ত্রী আছলিমা (৩৫)।
পুলিশ ও হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নরসিংদী সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্বের কারণে হয়রানীর শিকার হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। স্থানীয় রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি ও ক্যাডারদের নাম ভাঙ্গিয়ে দালালরা দিনের পর দিন নিরীহ মানুষকে হয়রানী করছে। আর সুযোগ বুঝে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা উন্নত চিকিৎসার নামে অসহায় রোগীদের নিয়ে বাণিজ্যে মেতে উঠছেন।
এরই প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ বাহিনীকে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়। পাশাপাশি ইতিমধ্যে পুলিশও প্রাপ্ত তথ্যের ভিক্তিতে দালালদের তালিকা তৈরী করেছে।
এরই প্রেক্ষিতে নরসিংদী সদর হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
আটককৃত দালাল আসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে রোগী হয়রানী ছাড়াও ভূয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট তৈরীর করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে বিচার বিভাগ তার প্রতি ক্ষুব্দ ছিল বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পুলিশের এই অভিযানের পর পাল্টে যায় নরসিংদী সদর হাসপাতালের চিত্র। দালালমুক্ত পরিবেশে শনিবার অনেকটা স্বচ্ছন্দে চিকিৎসা সেবা পেয়েছে রোগীরা। এতে খুশি চিকিৎসকরাও। নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযানে সদর হাসপাতাল থেকে দালাল সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।