খন্দকার শাহিন: নরসিংদীতে দুর্ঘটনায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকসহ ১৪ জন নিহত ও ৩০ আহত হয়েছে। বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা আট জন ও রায়পুরা উপজেলার নারায়ণপুরে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে ।
মাধবদীতে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নরসিংদীর মনোহরদী থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস কান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছিল। এ সময় ফল বোঝাই করা একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন দিক থেকে বাসটিকে ধাক্কা দিলে দুটি গাড়িই উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে ২ জন মারা যায় । নিহতরা সবাই বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী ও শ্রমিক ছিলো।
নিহতরা হলেন, নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকার আলী আকবরের স্ত্রী হেনা বেগম (৩০), কান্দাপাড়ার আব্দুর রহমান (৫০) ও তার ছেলে রবিউল (২০), কান্দাইলের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে সুমিবগম (১৫) ও একই এলাকার সুজন মিয়া (২১) ও অজ্ঞাত চিত্ত রঞ্জন। তবে ঘটনার পরপর অনেকের লাশ স্বজনরা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মত পার্থক্য রয়েছে। এদিকে বিকাল সাড়ে তিনটায় মাধবদীর পৌলনপুর এলাকায় সাথী পরিবহন নামে একটি লেগুনা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে তাতে ডাইভারসহ ২ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস জানান, হতাহতদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তিনি আরো জানান পুলিশ ও ফায়ার সার্ভীস দুর্ঘটনাকবলীত গাড়ী দুটি দুপুর ১২ টার দিকে উদ্ধার করে। পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠে। অপর দিকে বিকেলে একটি সাথী পরিবহন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।
এছাড়া রায়পুরার উপজেলার নারায়ণপুরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে একটি ফিলিং স্টেশনে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার গোকুল নগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈদ্যুতিক কাজের সময় হঠাৎ সখসার্কি হলে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই ছয় জন মারাজান।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।