নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদীতে ঘুষের টাকা লেনদেনের সময় বি আর টি এ’র এক কর্মচারীকে হাতে নাতে আটক করেছে দুদক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), নরসিংদীর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ঘুষের দশ হাজার টাকা জব্ধ করা হয়। ঢাকা- ২সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশন সহকারী পরিচালক এ ঘটনায় রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। পরে পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়। আটক কৃত সুমন কুমার সাহা বিআরটিএ’র সীল মেকানিক হিসেবে কর্মরত।
দুদক সূত্রে জানাযায়,ভূক্তভোগী ইয়াছিন আরাফাত ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য নরসিংদী বি আর টিএ কাযালয়ে আসেন। ওই সময় ভাবিক নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে ১০ হাজার টাকা ফি ও ০৬ মাস সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে া অফিসের অন্যান্য খরচ হিসেবে দিতে হবে এবং পরীক্ষার অনেক ঝামেলা হবে। আর অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হলে ২৫ হাজার টাকা দাবী করেন। তাহলে ১ মাস ১০ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সমস্ত ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। ভূক্তভোগী ইয়াসিনকে আরো জানানো হয় যে ঘুষের টাকা তিনি শুধু একা নেবেন না, টাকার ভাগ টেবিলে টেবিলে দিতে হয়। ঘুষ দেয়া ও নেয়া দন্ডনীয় অপরাধ বিধায় ভূক্তভোগী ইয়াছিন দুর্নীতি দমন কমিশন উপপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটির উপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে ফাঁদ পেতে সুমন কুমার সাহা’কে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করার জন্য অভিযোগকারী মোঃ ইয়াছিন আরাফাতের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন। ওই সময় দুদক কর্মকর্তারা তাকে হাতে নানে আটক করেন। এসময় তার পরিহিত নীল রং এর জিন্স প্যান্টের পিছনের পকেট থেকে ঘুষের ১০ (দশ) টি ১০০০/- টাকার নোট যার নম্বর গ ন ৪১০০৩৩৬ হতে গ ন ৪১০০৩৪৫ ।
এদিকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সিল মেকানিককে আটক করা হলেও বিআরটিএ ঘুষখুর মূলহোতারা রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাহিরে।
দুনীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে নরসিংদী বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় দুদুকের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়।