1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নরসিংদীর রায়পুরার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ লক্ষ অর্থলুট ও ডাকাতির অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
  • ৩০০ পাঠক

লক্ষন বর্মন, নরসিংদী প্রতিদিন : নরসিংদীর রায়পুরা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অর্থলুট ও ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। মেঘনা নদীতে গরু ব্যাবসায়ীদের জিম্মি করে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে । খেটে খাওয়া মানুষ ও দরিদ্র গরু ব্যাবসায়ীদের অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় উপজেলার ৪টি গ্রাম জুড়ে চলছে মাতম। ঋনের টাকা খোয়া যাওয়ায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। আর অর্থ ফেরত চাওয়ায় গরু বেপারীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেলেও প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ও ২৫টি গরু জব্দের কথা স্বীকার করেছেন রায়পুরা থানার ওসি দোলোয়ার হোসেন।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়,নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের হরিপুর,দরিপুর,শুটকিকান্দা ও গোপিনাথপুর সহ চারটি গ্রামে প্রায় দুই শতাধির লোক গরু বেচা কেনার ব্যাবসা করেন। গেল মঙ্গলবার সকালে চারটি গ্রামের প্রায় ষাট-পয়ষট্রি জন ব্যাবসায়ী গরু নিয়ে নৌকা যোগে পার্শ্ববর্ত্তী বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বাইশ মৌজা সাপ্তাহিক গরুর হাট যায়। বেচাকেনা শেষে বিকেল ৫টার দিকে অবিক্রিত ২৫টি গরু ও গরু বিক্রির নগদ টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। ব্যাবসায়ীদের দুইটি নৌকা মেঘনা নদীর মাঝখানে পৌছেল রায়পুরা থানার এস আই শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের ২০ জনের একটি দল তিনটি স্প্রিট বোড তাদের গরিরোধ করেন। পরে অস্ত্রের মুখে ব্যাবায়ীদের জিম্মি করে ফেলে। পরে তাদেরকে তল্লাশি চালিয়ে গরু বিক্রির প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে দুই নৌকার সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে ৪৯ জনকে নাশকতা ও বিস্ফোরন মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মধ্যেমে কারাগারে প্রেরন করে।
৭০ লক্ষ টাকার মধ্যে আবেদ আলী বেপারীরর ১০টি গরু বিক্রির ৫ লক্ষ টাকা,বাবুল বেপারীর ২ লক্ষ ৭০ হাজার,ইসলাম উদ্দিনের ৭০ হাজার,কালু মিয়ার ১ লক্ষ ৯০ হাজার,ফেলু মিয়ার ২ লক্ষ ৬০ হাজার,করিম মিয়ার ২ লক্ষ ২০ হাজার,জলিল মিয়ার ২লক্ষ ৪০ হাজার,কাশেস মিয়ার ১ লক্ষ ৬০ হাজার,খলিল মিয়ার ১ লক্ষ ৯০ হাজার,কাশেম মিয়ার ২ লক্ষ,শাজাহান মিয়ার ১লক্ষ ৫ হাজার টাকা। বাকিরা জেলে থাকায় পরিবারের লোকজন সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি।
তবে পুলিশের দাবী, ৮০/৯০ জন লোক ককটেল বিস্ফোরন করে দাঙ্গা হাঙ্গামার চেষ্টা চালাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তেতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে। ওই সময় তাদের কাছে থেকে ২১টি রড়ের টুকরা,৩২টি ককটেল ও ৪৪টি টেটা জব্ধ করা হয়।
গরু ব্যবাসায়ী মোঃ জাকারুল বলেন, আমাদের দুইটি নৌকায় প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ছিল। যা পুলিশ বেশি ডাকাতরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন,তারা পুলিশ নয়। তারা ডাকাত। পুলিশ হলে এভাবে সাধারন জনগনের উপর অত্যাচার করতো না।
গরু ব্যাবসায়ী ইউসুফ বলেন, শাখওয়াত দারোগা তিনটি স্প্রিটবোর্ট নিয়ে আমাদের ব্যারিকেট দেয়। নৌকায় এসেই পিস্তল ঠেকিয়ে আমাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তারা টাকা গুলো তিনটি গামছা দিয়ে বেধে একটি স্প্রিট বোর্ড নিয়ে চলে যায়।
নৌকার মাঝি নিজাম ও বশির বলেন, পুলিশের ভয়ে তিন বেপারীর প্রায় ৪ লক্ষ টাকা একটি ছেড়া কাথা দিয়ে নৌকার নিচে লুকিয়ে রাখি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
কালু বেপারীরর স্ত্রী অরিফা বলেন, ঋন নিয়া আমার স্বামী ব্যাবসা করে। পুলিশ আমার স্বামী ও ছেলের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়া গেছে। আবার তাদের জেলে দিছে। এখন ঋনের টাকা কেমনে শোধ করমু?
অপর গরু ব্যাবসায়ী ভূট্রো মিয়া বলেন, পুলিশ যা করছে তাতে পুলিশে ডাকাতের মধ্যে প্রার্থক রইল না।
থানা পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া ব্যাবসায়ী ইসলাম উদ্দিন বলেন,থানায় নেওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা টাকা ফেরৎ চাইলে মামলায় ডুকিয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখায়। আর টাকা না চাইলে ছেড়ে দেয়া হবে না। পরে বাধ্য হয়ে গরু বিক্রির ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছি।
এদিকে এক সাথে এত ব্যাবসায়ীকে আটক করে নেওয়ার পর তাদের স্বজনরা থানায় ভিড় জমায়। পরে আটককৃত কিশোর ও বয়বৃদ্ধ সহ ১১ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এব্যপারে অভিযুক্ত রায়পুরা থানার দারগা মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় তার ব্যাবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে রায়পুরা থানার ওসি মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিস্ফোরন করে দাঙ্গা হাঙ্গামার চেষ্টা চালাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তেতে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে শোপর্দ করা হয়। এদের মধ্যে ৮ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, ৭/৮ জন ডিবি এসোল্টভুক্ত, ১৬ জন টেটাযুদ্ধা। ৭০ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে ৯ লাখ ৬ হাজার ১৫০ টাকা পাওয়া গেছে। যা জব্ধ তালিকায় দেখানো হয়েছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে গেলে এত টাকা নিয়ে যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম) বলেন,বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গরু ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ দিলে তদর্ন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD