1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

মনোহরদীতে শিক্ষক নিয়োগের নামে অর্ধকোটি ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
  • ২৭৩ পাঠক

নরসিংদী প্রতিদিন : নরসিংদীর মনোহরদীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও শিক্ষক নিয়োগের নামে প্রার্থীদের নিকট থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রশিদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ঘুষ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত মুচলেকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করার নির্দেশ দিলেও তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির যোগসাজশে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক।
এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদ উল্লাহ ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা আক্তার ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট ভুক্তভোগী চাকুরী প্রার্থীদের দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মনোহরদীর দৌলতপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রশিদ বিদ্যালয়ে শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেয়ার কথা বলে চাকুরি প্রার্থীদের নিকট থেকে ঘুষ হিসেবে প্রায় অর্ধকোটি টাকা গ্রহণ করেন। চাকুরিপ্রার্থী বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ গ্রামের আবুল কালামের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা, মনোহরদীর কৃষ্ণপুর গ্রামের আহসান হাবিব এর নিকট থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর নিকট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, নৈশ প্রহরী হিসেবে স্থানীয় মোঃ মানিক মিয়ার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ বিভিন্নজনের মোট প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণের খবর জানতে পেরে চাকুরি প্রার্থীরা প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের নিকট টাকা ফেরত চান। তিনি টাকা না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। অনেক ঘুরাঘুরি করেও টাকা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীরা প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ এর বিরুদ্ধে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদ উল্লাহ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদকে ডেকে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করেন। এ সময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ এসব ঘুষের টাকা ফেরত দিবেন মর্মে তিনশত টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম ও কাচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন খান (কনক) এর উপস্থিতিতে লিখিত মুচলেকা দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তার কার্যালয়ে তার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা আক্তার এর উপস্থিতিতে গ্রহণের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অপু দাস ঘুষের বিনিময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ছাড়াই দৌলতপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দৌলতপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও অর্ধকোটি টাকা নয় বলে সংযোগ কেটে দেন।
দৌলতপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা অপু দাস বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ নিয়োগের নামে কারও নিকট থেকে টাকা পয়সা নিয়েছেন কী না এ বিষয়ে আমার জানা নেই। পরবর্তীতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে বলেন, বিদ্যালয়ে নিয়োগ কমিটির ৫ জনের উপস্থিতিতে নিয়ম মেনে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়োগ কমিটিতে যারা যারা আছেন সবারই রেজুলেশনে সাক্ষর রয়েছে ।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা আক্তার বলেন, দৌলতপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কমিটিতে আমি উপস্থিত ছিলাম না। এ ব্যাপারে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই মর্মে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যার এর কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদ উল্লাহ প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ঘুষ গ্রহণ ও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত দৌলতপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রশিদ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
#



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD