শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক: নরসিংদী জেলা জুড়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। দৈনিক ৭ থেকে ৮ বারও লোডশেডিং হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কিংবা আবাসিক এলাকা, সবক্ষেত্রে একই অবস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঝে মধ্যে গ্রিডে সমস্যা হলে সরবরাহ কম থাকে, তখন কোথাও কোথাও লোডশেডিং হয়ে থাকে। তবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণের কাজ শুরু করবে বিদ্যুৎ বিভাগ।
নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক ও দুই এর অধীনে গত ৪ মাস ধরে শহর ও গ্রামাঞ্চলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। গ্রাহকদের অভিযোগ এসব অঞ্চলে দিন ও রাতের বেশিরভাগ সময় পাওয়া যায় না বিদ্যুৎ। দীর্ঘদিন ধরে লোডশেডিং এর কারণে ক্ষুদ্র শিল্প, দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন স্থানে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। সেই সাথে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
এলাকাবাসীরা বলেন, বিদ্যুৎ এমনটা সময়ে নিয়ে যাবে মাগরিবের আজানের পর। বাচ্চারা লেখা-পড়া করতে পারেনা। এছাড়াও আধাঘণ্টা পর বিদ্যুৎ দিয়েছে পাঁচ মিনিট পর আবার নিয়ে যায়। রাতে একঘণ্টা দেয় তিনটা ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্পাঞ্চল মাধবদীর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এতে কাজকর্মে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
শিল্পমালিকরা বলেন, আমদের মাসে যে ধরনের কাপড় দরকার তা আমরা উৎপাদন করতে পারি না।
নরসিংদীর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসিডেন্ট বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ২৫ শতাংশ আমাদের লস হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের মেশিনেরও ক্ষতি হচ্ছে।
লোডশেডিং এর ব্যাপারে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার এ, জেড, এম আজাদ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্তৃপক্ষ লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে জানায়, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণের কর্মসূচি নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ জেনারেল ম্যানেজার বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন নির্মাণের কর্মসূচি নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ইতোমধ্যে তারা এ প্রকল্প করার জন্য কী পরিমাণ ব্যয় হবে সেটার সরকার লোক নিয়োগ দিয়েছে।
নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে ১শ ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ সমান হলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে ১শ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হচ্ছে ১শ ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
