নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, আমরা যে উন্নত সভ্য দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছি নরসিংদী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানই তা প্রমাণ করে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। জনগণের স্বার্থে তাদের কাজে আমাদেরকে সবসময় মাঠ পর্যায়ে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এধরণের অনুষ্ঠাান মাসে একবার নয় প্রতি সপ্তাহে একবার করা উচিত বলে আমরা মনে করি। তাইওয়ান-হংকং উন্নত দেশ নয় কিন্তু তাদের মাথা পিছু আয় বেশী। তিনি নরসিংদী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, ২০৪১ সালে আমাদেরকে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে এভাবে সকলকে নিয়ে বসতে হবে। এটা সভ্যতার প্রতীক। “দুর্নীতি হলে শেষ,নিজে বাঁচবো,বাঁচবে দেশ।” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ২৫ অক্টোবর সদর উপজেলা মিলনায়তনে নরসিংদী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সদর উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে আয়োজিত উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে দুর্নীতি বিরোধী এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অথিতির ভাষণে ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস এসব কথা বলেন।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সূর্য্যকান্ত দাস-এর সভাপতিত্বে ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মো: বশিরুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা,সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি মো: মেহেদী হাসান। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মহিষাসুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো; ইব্রাহিম টিটন,উপজেলা পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: সবুজ হাওলাদার, চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এন জামান, নূরালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ চৌধুরী প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কবির আহমেদ ও এডভোকেট উম্মে সালমা মায়া, প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, হলধর দাস,মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া সহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সকলকে দুর্নীতিমুক্ত থেকে যথা সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে এবং ভয়ভীতি নয় কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রতিরোধ কমিটিকে আবারো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, আমার দ্বারা কাারো কোন ক্ষতি হবে এমন চিন্তা কখনো করি না। তবে জনগণের স্বার্থে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে কোন দুর্নীতিকে আমি প্রশ্রয় দিব না। সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য আমি বল প্রয়োগ করবো। তাই আমাদের সকলকে ন্যায়নিষ্ট ও সৎ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে দুর্নীতিমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যেতে পারবো। তাই সকলকে বলবো আমরা যেন সবাই শুদ্ধাচার চর্চা করি এবং সদাচারী হই।