লক্ষন বর্মন, নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদীর শিবপুরের মোবাইল চুরির অপরাধে ৫ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে শরীরে কেরোসিন ডেলে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের দগ্ধ স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজন ও পরিবারের অভিযোগ, মোবাইল চুরির অভিযোগে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ বলছে, চুরির অপবাদ সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা খৈনকুট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুল ছাত্রী আজিজা খাতুন (১৩) খৈনকুট গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে। সে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের ছাত্রী। তার বাবা সাত্তার স্থানীয় একটি মুরগীর খামারে চাকুরী করেন।
এ রিপোট লেখা পযর্ন্ত নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত আজিজার ভাই সুজন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির আঙিনা থেকে কয়েক জন লোক আজিজাকে ধরে নিয়ে যায় । প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি উচু টিলায় নিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়ে। পরে পাষন্ডরা তার শরীরে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আগুনে পুড়তে দেখে। পরে স্থানীয়রা পানি ডেলে আগুন নেবানোর চেষ্টা চালায়। ততক্ষণে তার শরীরের অনেকখানি পুড়ে জ্বলসে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে রাত দেড়টার দিকে আজিজাকে ঢামেকে আনা হয়।
সুজন আরও জানান, আট-দশ দিন আগে তাদের চাচির একটি মোবাইল সেট চুরি হয়। চাচির মা ও অন্য স্বজনরা এর জন্য আজিজাকে সন্দেহ করে। তারা হুমকি দেয়, এক সপ্তাহের মধ্যে মোবাইল ফোন ফেরত না দিলে আজিজাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে। যারা আজিজাকে পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের চিনতে না পারলেও এই ঘটনার জন্য চাচি ও তার স্বজনদেরই সন্দেহ করছেন তারা।
এদিকে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান জানান, কিশোরীকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনও প্রমাণ এখনও আমাদের হাতে আসেনি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আপবাদ সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি নিজে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তবে তদন্ত চলছে। তন্দ অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এ পযর্ন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সপ্তম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া এক ছাত্রী সাথী-(১৪) ও তার মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় শুক্রবার রাতে পলাশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি স্কুল পড়–য়া ছাত্রীর মা। ঘটনার পর থেকে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন নির্যাতিতা ও তার পরিবার। এ ঘটনায় এলাকাটিতে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামেএ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগি স্কুল ছাত্রী ও তার মা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড (ইটাখলা) এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া ও তার সাথে থাকা বখাটে সন্ত্রাসীরাতাকে উত্তক্তকরে আসছে। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওই বখাটে। তার এসব প্রস্তাবে রাজি না হলে সে আমার পরিবারের কাছে গত এক মাস পূর্বে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে বুধবার রাতে ফয়সাল ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা আমাদের মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে।