খন্দকার শাহিন,নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় মাধবদী থানার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে বাস-মাইক্রোবাস ও সকাল ১০টার দিকে শিবপুরের কারারচর এলাকায় বাস-লেগুনা সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত সবার পরিচয় পাওয়া গেছে মাধবদীর কান্দাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাথিউরা গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল করিম (৩৫), একই উপজেলার ছোট দেশের খায়রুল বাশার খয়ের (৩৫), শ্রীধরা গ্রামের জুবায়ের আহমদ (৩৫), কাকরদিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩৩), কসবার বাবুল আহমেদ (৩২) ও মাইক্রোবাস চালক বাবুল হোসেন( ৩২)। তারা সকলেই উপজেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
আর শিবপুরের ঘটনায় নিহতরা হলেন- শিবপুরের কারারচর মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরমান মিয়া (৫০), চিনিশিপুর মসজিদের ইমাম মাসুম মিয়া (৩৫) ও লেগুনার চালক সুজন মিয়া (২৪)। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ ও ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দিয়ে কাঁচপুরহয়ে সিলেট ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাইক্রোবাসটি নরসিংদীর কান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে নারায়ণগঞ্জগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চার জন নিহত হয়। আহত হয় অত্যন্ত ২৫ তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নেওয়ার পথে আরও দুই জন মারা যান।
অপরদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের কারারচর এলাকায় ইটাখোলাগামী লেগুনার সঙ্গে ঢাকাগামী দিগন্ত পরিবহন বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান লেগুনার তিন যাত্রী। এ সময় আহত হয় আরও ৫ জন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুই জনকে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উভয় ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে মাধবদী থানা ও ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এসে শনাক্ত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্দ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।’