1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

রায়পুরার চরাঞ্চলে দুইদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাড়ি-ঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ,আহত শতাধিক

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ২৯০ পাঠক

লক্ষন বর্মন, নরসিংদী প্রতিদিন নরসিংদীর রায়পুরার দূর্গম চরাঞ্চল বাশঁগাড়ীতে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী টেটাঁযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছে। প্রতিপক্ষের হামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট করা হয়ছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। হামলা পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে । প্রতিপক্ষের তোপের মুখে গ্রাম ছেড়েছেন প্রায় ৫শতাধিক লোক। এলাকার আধিপত্ব ও তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে আওয়ামীলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সপ্তাহ জুড়ে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় মামলা দায়েরে হয়েছে। ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের পর থেকে গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, রায়পুার বাশঁগাড়ী ইউপি নির্বাচনের জয় পরাজয় ও এলাকার আধিপত্ত্ব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যন সায়েদ সরকারের সাথে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হকের দন্ধের সৃষ্টি হয়। দন্ধের জের ধরে গত দুই বছরে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সব ঘটনায় সায়েদ সরকারের ১৪ সমর্থক ও সিরাজুল চেয়রম্যানের ১ সমর্থক সহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ শতাধিক লোক। তারপরও থেমে নেই দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। সর্বশেষ গত দশ মাস পূর্বে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ঘটনায় সায়েদ সরকারের ৪ সমর্থক নিহতের ঘটনার পর বর্তমান চেয়রাম্যানের সমর্থকরা এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হকের সমর্থকরা শক্তি সঞ্চয় করে গ্রামে পুনরায় অবস্থান নেয়ার চেষ্টা চালায়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাজারে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যানের সমর্থকরা টেটাঁ,বল্লম, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সায়েদ সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। ওই সময় প্রতিপক্ষরা ই্উনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল আহাম্মেদ সুমনে বাড়ী সহ অর্ধশতাধিক বাড়ীÑঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। পুড়িয়ে দেয়া হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সাটানো ব্যানার ফ্যাসটুন। ওই সময় প্রতিপক্ষরা নগদ টাকা ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার সহ অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করা হয়। এরমধ্যে আ’লীগ নেতা নূরে আলম মেম্বার,ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শাব মিয়া, মোসলে উদ্দিন মেম্বার, আ’লীগের সাবেক সভাপতি কাজি নূরুল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল আহাম্মেদ সুমন ইউনিয়য়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জাকির,হারুন মিয়া, খোরশেদ মিয়ার বাড়িঘর উপড়ে ফেলে দেয়া হয়। ওই সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে টেঁটা ও গুলিবিদ্ধ সহ প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। হামলা ও ভাংচুর লুটপাটের পর এলাকায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী খোরশেদ মিয়া বলেন, আমি বাজারে ব্যাবসা করি। কোন দলের সাথে আমার বিরোরাধ নেই। কিন্তু সিরাজ চেয়ারম্যানের সমর্থকরা রাত ১টার দিকে আমাদের বাড়ী ঘরে হামলা করে। একই সাথে তারা আমাদের বাড়ি লোকজনকে বেধরক পিটাতে থাকে। পরে আমরা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে আসি। তারা আমার তিনটি বাড়ী ভাংচুরের পর বাজারে অমার দোকান ভেঙ্গে ৬লক্ষ টাকার মাল লুট করে নেয়।
অপর ক্ষতিগ্রস্থ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল আহাম্মেদ সুমন বলেন, বাপ-দাদা সহ আমার চৌদ্দপুরুষ আওয়ামীলীগের রাজনিতির সাথে জড়িত। তারপরও আমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। অতি সম্প্রতি বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এখন পুরোনো আওয়ামীলীগদের বেছে বেছে ধংশ করার পায়তারা করছে। নয়তো তারা আ’লীগ সমর্থিতদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে কেন? সিরাজ চেয়ারম্যান স্থানীয় আ’লীগকে ধংশ করার পায়তারায় নেমেছে। তিনি আরো বলেন,তারা অহেতুক আমার বাড়ি ঘর জ¦ালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বাড়ীতে থাকা নগদ টাকা, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরসার,সরকারী তার সহ প্রায় ৩৫ লক্ষটাকার মালামাল লুট করে নেয়।
এর পক্ষের নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান সিরজুল ইসলাম বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সত্য নয়। তবে কিছু লোক গ্রামের বাহিরে ছিল। তারা গ্রামে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করলে সায়েদ সমর্থরা বাধা দেয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি দুই গ্রামবাসীর ঝগড়া মিমাংসা করে দেয়ার পরও তারা আমার ও আমার সমর্থকদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।
অপর পক্ষের নেতা সায়েদ সরকার কারাগারে থাকায় তার সাথে কথাবলা যায়নি।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে বাশঁগাড়ীর লোকজন বেপরোয়া। রাতে বলে আসলে সকালে ভুলে যায়।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD