লক্ষন বর্মন, নরসিংদী প্রতিদিন: নরসিংদীতে ঘটনার ২২দিনপর অটো চালক এর হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত পাঁচজন আসামীকে পৃথক পৃথক ভাবে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিয়েছে আসামীরা। গ্রেফতারকৃতরা হল ১। কুলিয়ারচরে মধ্যম সালুয়া এলাকার জাহিদ হোসেন ছেলে সুমন@পল্টু(২৭), ২। চরকামালপুর এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়া (৩৬) ৩। বেলাব চরবাঘবের এলাকার মুক্তার মিয়ার ছেলে সুলতান(২২),
৪। আসাদ মিয়ার ছেলে ফারুক(২৪), ৫। কুলিয়ারচর পূর্ব গাইলকাটার এলাকার মিজানুর রহমান স্ত্রী সুরাইয়া বেগম(৫৩)।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ১৫ জানুয়ারি বেলাব থানাধীন বীর বাঘবের নতুন বাজারের নিকট আসলে অটোচালক জিল্লুর রহমানকে খুন করে লাশ রাস্তার পাশে নার্সারীতে ফেলে রেখে অটো নিয়ে চলে যায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা। আজ বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। ঘটনার স্বীকার উক্তিতে আসামীরা বলেন সেদিন ডাকাতি করতে বের হয়,রাত তখন ১০টা থেকে সাড়ে ১০ দিকে। মানুষজন জেগে ছিল তাই তারা চিন্তা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনাস্থলের পাশে রাস্তায় কলাগাছ কেটে ফেলে রাখে। একটি অটো আসা মাত্র তারা আক্রমন করে।সুমন, সোহেল, আরো দুজন ড্রাইভারকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে রাস্তা থেকে নামিয়ে উত্তরে নিয়ে যায় এবং সুলতান, ফারুক অটোরিক্সা নিয়ে কুলিয়ারচর চলে যায়। এদিকে ড্রাইভারকে গলায় গামছা পেচিয়ে ও মারপিট করে খুন করে লাশ নার্সারীতে ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে অটোরিক্সাটি কুলিয়ারচরে তাদের কথিত খালার নিকট ২২,০০০টাকায় বিক্রয় করে তারা টাকা বন্টন করে নেয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নেশার টাকা দিলে যেকোন কাজ করতেও দিধাবোধ করেনা। এনিয়ে তারা একাধিক খুন করেছে বলে জানায়। আসামীরা কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাই করে তাদের কথিত খালার সুরাইয়া বেগম কাছে বিক্রয় করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি, চুরি, অস্ত্র মামলা আছে।
ডিবি পুলিশের এস আই রূপন সরকার পরিবর্তনকে বলেন, ঘটনার ২২দিন পর অটো চালকের হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত পাঁচজন আসামীকে পৃথক পৃথক ভাবে গ্রেফতার করি। প্রথমে কুলিয়ারচরে মধ্যম সালুয়া এলাকার জাহিদ হোসেন ছেলে সুমন@পল্টু’র তথ্যমতে গাজীপুর কালিগঞ্জের মীরের বাজার হতে সোহেলকে চরবাঘবের এলাকা থেকে সুলতান,ফারুককে গ্রেফতার করি। পরে সুরাইয়া বেগমকে পূর্ব গাইলকাটা থেকে গ্রেফতার করি। সেখান থেকে অটো উদ্ধার করি। আসামীরা কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাই করে তাদের কথিত খালার কাছে বিক্রয় করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি,চুরি,অস্ত্র মামলা আছে। মামলার বাদীকে আমি আশ্বস্থ করেছিলাম তারা ন্যায় বিচার পাবে।