নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন, মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ ২০১৮:
নিহতের দেশে আনার খরচ দেবে ইউএস-বাংলা
নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের আনার প্রক্রিয়া চলছে। সকল প্রক্রিয়া শেষে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের তত্ত্বাবধানে খুব দ্রুতই নিহতদের দেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে। যারা আহত অবস্থায় নেপালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের সকল চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে এয়ারলাইন্সটি।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর বারিধারায় ইউএস-বাংলার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিমান সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) কামরুল ইসলাম এসব কথা জানান।
বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারা বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্ন তথ্য দেয়া হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি ৪৯ জনের মতো নিহত হয়েছে। তালিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু জানাতে পারবো না। আমাদের প্রতিনিধিদল সেখানে পৌঁছেছে। খুব দ্রুতই আপনাদের হতাহতদের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার আইডেন্টিটি কার্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নেপালি ও বাংলাদেশিদের তালিকা বের করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে সময় লাগছে।’
দুর্ঘটনার জন্য কাঠমান্ডুর এটিসি কন্ট্রোলকে দোষারোপ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘লাস্ট পাইলটের সঙ্গে কাঠমান্ডুর এটিসি কন্ট্রোলের কথাপোকথনে তাকে রানওয়ে সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছিল। যেটা আন্তর্জাতিক গণমধ্যমেও এসেছে। কারণ আমাদের উড়োজাহাজের কোনো সমস্যা ছিল না। আমাদের প্রধান বৈমানিক ৫ হাজার ঘণ্টার উপরে এভিয়েশনে ফ্লাই করেছেন। এবং কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টে শতাধিকবার তিনি ল্যান্ড করেছেন। যার কারণে আমার কাছে মনে হয় না, ক্যাপ্টেনের কোনও ভুল-ভ্রান্তি ছিল।’
ইউএস-বাংলার এ কর্মকর্তা বলেন, ‘কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটসহ মোট ৭০টি এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্টের ঘটনা ঘটেছে। এটা কাঠমান্ডুর নতুন ঘটনা না। সুতরাং তদন্তের পরেই আসলে বুঝা যাবে সমস্যা কোথায় ছিল।’
“আমরা ইতোমধ্য খবর পেয়েছি প্রধান বৈমানিক মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত সকলের জন্য শোক প্রকাশ করছি ও দেশবাসীর কাছে নিহতদের জন্য দোয়া চাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি”- যোগ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এ কর্মকতা।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি নেপালের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নেপালে পৌঁছানোর পর স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিট) ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে ৪ ক্রুসহ ৭১ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৫০ জন নিহত হন। যার মধ্যে ২৫ বাংলাদেশী রয়েছেন। অপর নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন নেপালি এবং মালদ্বীপ ও চীনের একজন করে নাগরিক ছিলেন। আহত ২২ জনের মধ্যে বাংলাদেশী ৯ জন।