নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন, রবিবার, ১৮ মার্চ ২০১৮:
ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের জন্যে সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের দেশে ই-লার্নিংকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলের একত্রে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে মনে করছেন এই খাতের বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং এডিএন এডুসার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত ‘ই-ভ্যান ফর লাইফলং লার্নিং’ শীর্ষক সেমিনারে যোগ দেয়া বক্তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তন ৭১ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি ইউনাইটেড স্টেট ডিস্টেন্স লার্নিং কর্তৃক ‘হল অব ফেম’ পদকে ভূষিত প্রফেসর ড. বদরুল খান।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার নুর আশিকিন তাইব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটির উপাচার্য মো. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম।
সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি ও এডিএন এডুসার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারের মূল বক্তব্যে প্রফেসর ড. বদরুল খান বলেন, ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে ই-লার্নিংই হবে শিক্ষা ব্যবস্থা। বহির্বিশ্বে ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটছে। সেই তুলনায় আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছি। কিন্তু আমরা যত দ্রুত এই ব্যবস্থাটির সাথে আমাদের তরুণদের পরিচয় ঘটিয়ে দিতে পারব ততই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ই-লার্নিং এর বিকল্প নেই। সেই সাথে উন্নত বিশ্বের শিক্ষায় আমাদের তরুণদের শিক্ষিত করতে ই-লার্নিং এর প্রয়োজন বর্ণনাতীত। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-লার্নিংয়ের সম্ভাব্যতা ও সক্ষমতা যাচাই করতে হবে বাংলাদেশকেই, এবং সেই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোকেই।
সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ছাত্রদের ই-লার্নিং বা অনলাইন লার্নিংয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারছে না। দেশের শহর অঞ্চলগুলোতে কিছুটা হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ই-লার্নিংয়ের সুযোগ গুলো একেবারেই অনুপস্থিত। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ব্যাপারে অধিক মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ই-লার্নিংকে পরিচিত করতে পারি তবে তা আমাদেরই লাভ। সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমাণ অর্থ যা বছর বছর বিদেশে ছাত্রদের টিউশন ফী বাবদ বৈদেশিক মুদ্রায় খরচ হয়। আবার মেধা পাচারের বিষয়টিও চলে আসবে শূন্যের কোঠায়। কারণ দেখা যায়, বর্তমানে যারা বিদেশে উন্নত শিক্ষার উদ্দেশ্যে যায় তাঁদের বেশির ভাগই আর দেশে ফিরে আসে না।
তপন কান্তি বলেন, ই-লার্নিং আমাদের দেশের মতো দেশগুলোর জন্যে এখন আশীর্বাদস্বরূপ। অনেক ইচ্ছা এবং চাহিদা থাকা সত্ত্বেও উন্নত বিশ্বের মতো শিক্ষা আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভবপর না। আমাদের প্রচুর মেধা আছে। ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা দেশে বসেই পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের পছন্দ মত বিষয়ের উপর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে।
ড্যাফডিল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. তৌহীদ ভূঁইয়া এবং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. আখতার হোসেন এই আলোচনায় অংশ নেন।