নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী প্রতিদিন,বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮ : নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া বাজারের ইজারা ডাকে ভয়াবহ দূনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নেগোসিয়েশনের নামে ঠিাকাদারের নিকট থেকে ৩০ ল টাকা ঘুষ নিয়ে সরকারের অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব তি সাধন করা হয়েছে। এই ইজারাদার গত বছর ১ কোটি ৬ লাখ টাকা দিয়ে বাজারের ইজারা নিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছে, সেই একই ব্যক্তিকে এ বছর মাত্র ৫২ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় বাজার ইজারা বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে।
গত ১১ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে পাটুলী ইউপি চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামান ও একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা পারস্পরিক যোগসাজসে সরকারের অর্ধকোটি টাকা রাজস্বের লোকসান ঘটিয়েছে। এ বছর নেগোসিয়েশনের নামে দূর্নীতি করে বাজারের ইজারা মূল্য নামিয়েছে মাত্র ৫২ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়। ভ্যাট সহ ইজারা মূল্য দাড়িয়েছে প্রায় ৬২ লাখ টাকা।
খবর নিয়ে জানা গেছে, গত বছর বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া বাজারের ইজারা ডাকে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করে বাদল আহমেদ নামে জনৈক ঠিকা ব্যবসায়ীকে বাজারের ইজারা ব্যবস্থা প্রদান করেন বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পোড়াদিয়া বাজারটি এলাকার একটি বৃহৎ বাজার হিসেবে গত বছরের ইজারাদার বাদল আহমেদ বাজারটি নিয়ে ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করে। আগামী বৈশাখ মাস থেকে পোড়াদিয়া বাজারের নতুন ইজারাদার নিয়োগ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করেন বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
১৮ ফেব্রুয়ারী নরসিংদীর দৈনিক গ্রামীণ দর্পণ ও দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিভিন্ন ঠিকা ব্যবসায়ীগণ ১০ টি দরপত্র ক্রয় করেন। ঐ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও পাটুলী ইউপি চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামান, বাদল আহমেদ নামে একই ঠিকা ব্যবসায়ীকে কম মূল্যে ইজারা ব্যবস্থা নিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার নিকট থেকে ৩০ ল টাকা ঘুষ নেয়। ১০ মার্চ দরপত্র দাখিলের পূর্ব দিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দরপত্র ক্রয়কারী বাকী ৯ জন ঠিকা ব্যবসায়ীকে ডেকে জিম্মি করে ৯ টি দরপত্রই তারা হস্থগত করেন।
পরে সর্বোচ্চ দরদাতা বাদল আহমেদের দরপত্রে ৫২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দর উলেখ্য করে আরো ২ জন ঠিকাদারের নামে ২ টি নিম্ন মূল্যের দরপত্র দাখিল করে। ফলে বাদল আহমেদ দ্বিতীয় বারের মতো বাজারের ইজারা বন্দোবস্ত পেয়ে যায়। চেয়ারম্যান জামান ও রাজনৈতিক নেতা একাই আত্মসাৎ করেন ৩০ লাখ টাকা। এতে বাকী ৯ জন ঠিকা ব্যবসায়ী নেগোসিয়েশনের ৩০ ল টাকার ভাগ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়টি ফাঁস করে দেন। এই নিয়ে বেলাব উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পাটুলী ইউপি চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বাজার ইজারার বিষয়টি উপর মহলের নির্দেশেই হয়েছে’। পরে বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, নিয়মমাফিকই বাজারের ইজারা দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতাকেই বাজারের ইজারার বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।