সরকার আদম আলী,নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার,৩১ মার্চ ২০১৮: অব্যাহত ধর্ষণের ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশ্য দিনের বেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। রাস্তা থেকে অপহরণ করে পঞ্চদশী এই মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে কামরুল নামে ৩০ বছর বয়সি এক ইলেক্ট্রিশিয়ান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্ষক কামরুল একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র। গত ৯ বছরে নরসিংদীতে সহশ্রাধিক ধর্ষণ ঘটনার পর এ বছরের ৩ মাসেই নরসিংদীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কমবেশি ২৫ জন নারী ও শিশু। ধর্ষকদের হাত থেকে ২, ৩, ৫ বছরের শিশু রেহাই পাচ্ছে না। ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির কন্যা মাদ্রাসা ছাত্রী পঞ্চদশী স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষিতা পঞ্চদশী বাড়ি থেকে বের হয়ে তার পার্শবতী এক চাচার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিছুদূর যাবার পর পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ধর্ষক কামরুল তার গতিরোধ করে।
একপর্যায়ে সে পঞ্চদশীর মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে পার্শবতী দেওয়ান আলীর একটি নির্জন পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-পা বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ধর্ষক কামরুল পঞ্চদশীকে ঘরের ভিতরে আটকে রেখে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এই অবস্থায় ঘরের বন্দীদশা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পঞ্চদশী দীর্ঘ চেষ্টা করে তার হাতের বাধন খুলে ফেলতে সক্ষম হয়। বন্ধন মুক্ত হয়ে সে একটি জানালা খুলে চিৎকার করে আশেপাশের লোকজনকে ডাকতে থাকে। এ অবস্থায় ধর্ষিতা পঞ্চদশীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে এই ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান তাদেরকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভুইয়া সাংবাদিকদের নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবারের লোকজনকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলা হয়েছে।