খন্দকার শাহিন,নরসিংদী প্রতিদিন,শুক্রবার,১৩ এপ্রিল ২০১৮: সৌদি আরবের রিয়াদে ইলেকট্রনিক শর্ট সার্কিটের অগ্নিকান্ড থেকে কক্ষে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে বিস্ফোরণে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা আটজন বাংলাদেশি মারা গেছেন এবং আরো সাতজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে রিয়াদ থেকে টেলিফোনে নরসিংদী প্রতিদিনকে প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনা জানান। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০ টা এবং সৌদি আরব সময় সকাল ৭.৩০ টায় এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। তারা সকলে রিয়াদ বিমান বন্দর সংলগ্ন নূরা ইউসিভার্সিটিতে কর্মরত ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদী থানার কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেনে ছেলে রবিন (২২), গাজীপুর কালীগঞ্জের হিমেল (২৮), রুপগঞ্জ কাঞ্চনের মজিদ (৫০), ঢাকা যাত্রাবাড়ীর সোলেমান, কিশোরগঞ্জের ইকবাল, বাহ্মনবাড়ীয়ার সেলিম ও সিলেটের জোবায়ের।
তাছাড়া ঘটনায় নরসিংদীর ডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঝের চরের পাভেল (২২), ঢাকার খোরশেদ (৫০), বগুড়ার নাজমুল ও মানিকগঞ্জের সাঈম গুরুতর আহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
হতাহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানতে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগীতার জন্য রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইং নিহতদের কোম্পানি এবং হাসপাতালে যোগাযোগ করছে বলে প্রথম সচিব সফিকুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রিয়াদ সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মেজর মোহাম্মদ আল-হামাদির বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি বার্তা সংস্থা বলেছে, শ্রমিকদের থাকার ওই ভবনের প্রবেশদ্বারে যখন আগুন লাগে তখন সেখানে ৪৫ জন ছিলেন। সেখানে মোট ৫৪ জন থাকতেন, যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি।
ভেতরের দিকের কক্ষগুলো থেকে শ্রমিকদের বেরোনোর অন্য কোনো পথ ছিল না। নিহত সাতজনের অধিকাংশই ওই সব কক্ষের বাসিন্দা বলে সিভিল ডিফেন্সের এক ট্যুইটে বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে এ মর্মান্তিক খবর শুনে প্রবাসিদের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
মাধবদীতে নিহত রবিনের চাচা নবী হোসেন ও চাচাতো ভাই রায়হান জানান, গত তিন মাস হয় রবিন প্রবাসে পাড়ি জমায়। এদিকে তার মৃত্যুর খরব পেয়ে রবিনের বাবা আবুল হোসেন বারবার মুর্ছায় যাচ্ছেন।