নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,শুক্রবার, ০৪ মে ২০১৮:
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়। এই সর্ম্পক কেন্দ্র করেই রাজশাহীতে আবারও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শহরের চন্দ্রিমা থানার মুসরইল এলাকার একটি লিচু বাগানে ১মে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছেন।
চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। প্রেমের সম্পর্কের কারণে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে খুলনা থেকে ওই নারী রাজশাহী এসেছিলেন ।
গত ২ মে বুধবার সকালে ওই নারী থানায় গিয়ে জানায় তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চার যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগ জানানোর পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির হেফাজতে দেয়া হয়।
ওসি হুমায়ন বলেন, ওই নারীর বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। শুক্রবার (৪মে) তাদের রাজশাহীতে আসার কথা রয়েছে। তার বাবা-মা আসার পর মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ, নগরীর মুসরইলের রং মিস্ত্রি গাজু মিয়ার ছেলে আকাশের সঙ্গে ওই নারীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরিচয়ের জের ধরে ১ মে মঙ্গলবার ওই নারী আকাশের সঙ্গে দেখা করতে রাজশাহীতে আসেন।
দুপুরে আকাশের দুই বন্ধুর সঙ্গে ওই নারী গাজু মিয়ার বাড়িতে যেয়ে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানায় এবং বিয়ের প্রস্তুাব দেয়। কিন্তু আকাশের বাবা-মা এতে রাজি না হয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আকাশের দুই বন্ধু ওই নারীকে নিয়ে চলে যায়। রাতে স্থানীয় একটি লিচু বাগানে তাকে রাতভর ধর্ষণ করা হয় বলে জানান তিনি।
ধর্ষণের ঘটনায় তার ছেলে জড়িত নয় বলে দাবি করেন আকাশের বাবা গাজু মিয়া। গাজু মিয়া বলেন, ওই মেয়ে বাড়িতে গেলে তার ছেলে ওই মেয়ের সঙ্গে তাদের তিন বন্ধুর মোবাইল ফোনে কথা বলার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়নি। তিনি বলেন, ওই মেয়ের বয়স প্রায় ৩৫ বছর, আর তার ছেলে আকাশের বয়স মাত্র ১৫ বছর। আকাশ নবম শ্রেণীর ছাত্র।
তাই তাদের দুপুরে খাওয়ানোর পর বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়। আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। এর পর কি হয়েছে সে ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। পরের দিন(২মে) মঙ্গলবার চন্দ্রিমা থানার ওসি তাকে (গাজু মিয়া) জানিয়েছেন, ওই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে এক কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ওই কিশোরী কাজের সন্ধানে রাজশাহী এসেছিল। বাড়িতে কাজ দেয়ার নাম করে রেল স্টেশন থেকে ওই কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করে।