প্রকাশিত ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,সোমবার,১৪ মে ২০১৮: পলাশে কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি ঘটনার ১৪ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি। ধর্ষিতার মা ও মামলার বাদীর অভিযোগ, মাত্র পাঁচ হাজার টাকার জন্য পুলিশ আসামি মামুন মিয়াকে ধরছে না।
বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় পলাশ উপজেলার গাজারিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মামুন মিয়া এক কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর পুলিশ মামুনকে না পেয়ে তার মা রেখা বেগমকে আটক করে থানায় আনার আট ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়। পরে ধর্ষণের দুই দিন পর থানায় মামলা নেওয়া হয়। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বোরহান উদ্দিন।
মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, ‘থানায় মামলা করতে গেলে এসআই বোরহান উদ্দিন ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে আসতে চাইলে তিনি টাকা লাগবে না বলে জানান। আর মামলা নেওয়ার দুই দিনের মাথায় তিনি আমার কাছ থেকে আসামি গ্রেপ্তার ও মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য ১২ হাজার টাকা নেন। পরে এসআই বোরহান আসামি ধরার জন্য আরো পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন এবং বলেছেন, পাঁচ হাজার টাকা দিলেই তিনি আসামি ধরবেন। আমার স্বামী দিনমজুর।
এত টাকা কই পামু?’ তিনি আরো বলেন, ‘আসামি মামুন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুনেছি তার মাকে আটকের পর পুলিশ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। আমি মামুনকে দেখে অনেক বার বোরহান স্যারকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি না এসে আমাকে বলেন, আসামি এলাকায় আসুক, এলাকায় কিছুদিন কাজকর্ম করতে থাকুক, পরে ধরব। ’
এদিকে মামলার বাদীর অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এসআই বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহ ছুটিতে ছিলাম। তাই আসামি ধরতে একটু দেরি হওয়ায় বাদীপক্ষ হতাশা থেকে এই অভিযোগ করেছে বলে মনে হচ্ছে। আমি এখন (গতকাল রবিবার বিকেল ৬টা) ঘটনাস্থলে আছি। খোঁজখবর নিচ্ছি।
পলাশ থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা এক সপ্তাহের ছুটিতে ছিল। টাকা নেওয়া বা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। মামলা ঘিরে কোনো ধরনের অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
সূত্র: কালের কণ্ঠ