নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন,বুধবার,২৭ জুন ২০১৮: গাজীপুর নগরীকে বসবাসযোগ্য হিসেবে গড়তে চান সিটি করপোরেশনে নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। বিজয়ী হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এতোদিন আমি মানুষের কাছে গিয়েছি ভোট চাইতে। এখন তাদের কাছে কাজের জন্য যাবো। গাজীপুরকে বাসযোগ্য শহর করতে চাই।’
এ সময় তিনি সঠিকভাবে মেয়রের দায়িত্ব যেন পালন করতে পারেন এ জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
বুধবার (২৭ জুন) দুপুরে মহানগরীর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘আজ কাউকে আমরা নির্বাচিত ঘোষণা করবো না। শুধু ফলাফল ঘোষণা করবো।’ তিনি বলেন, ‘৩৭ এর ২ বিধি মোতাবেক তাকে (জাহাঙ্গীর) বিজয়ী ঘোষণা করা যাবে না। যেহেতু ৯টি কেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে, তাই আইনগত জটিলতা থাকার কারণে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত লোকজন হইচই শুরু করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। পরে গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে ‘নির্বাচিত’ ঘোষণা বিষয়টি উপস্থিত সবাইকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু স্থগিত ৯টি কেন্দ্রে ২৩ হাজার ৯’শ ৫৯ ভোট রয়েছে সেক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরকে বিজয়ী ঘোষণা করলে কোনও সমস্যা নাই। কারণ, ওই ৯ কেন্দ্রের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে দিলেও জাহাঙ্গীরকে বিজয়ী মেয়র প্রার্থী ঘোষণা দিতে হবে। তার ভোটের পার্থক্য অনেক বেশি। সেই হিসাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর বেসরকারিভবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।’
পরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে রেজাল্ট শিট গ্রহণ করেন। এ সময় বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে উপস্থিত দর্শক ও কর্মীসমর্থকেরা করতালি দিয়ে নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানান। এ সময় জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাকে ও নৌকাকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষ যানজট, জলাবদ্ধতা, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে আছে। সেই হিসেবে বলেছি আমাকে এবং নৌকাকে ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে চাই। সিটি করপোরেশন নিয়ে আমার একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা আছে। এটা নিয়ে সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কাজটা করতে চাই। সিনিয়র সবার কাছে সহযোগিতা চাই।’
যারা প্রতিপক্ষ ছিলেন তাদের সঙ্গে নিয়ে কীভাবে কাজ করতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অবশ্যই আমি তাদের পাশে পেতে চাই। আমি যা চিন্তা করেছি, তা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমি চাই কাজের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বার্থে, পরিচ্ছন্ন নগরীর স্বার্থে তারা যেন আমাকে সহযোগিতা করেন।’