1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ায় একের পর এক খুন

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১৮
  • ১৮৭ পাঠক

সফুরউদ্দিন প্রভাত*
নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার,১০ জুলাই ২০১৮:
আড়াইহাজার উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন মূলত কয়েকটি চর নিয়ে গঠিত। মেঘনা নদীবেষ্টিত এ ইউনিয়নের চৌদ্দটি গ্রামে প্রায় ৪০

হাজার লোকের বসবাস। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা হলেও আধিপত্য ও অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে প্রায়ই একাধিক পক্ষ দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায়ই ঘটে সহিংস কর্মকাণ্ড আর হত্যাকাণ্ড। একের পর এক হত্যাকাণ্ডে কালাপাহাড়িয়া পরিণত হয়েছে এক আতঙ্কজনক জনপদে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, দিনেও এখানে পুলিশ যেতে ভয় পায়।

সর্বশেষ গত শনিবার মধ্যারচর গ্রামে মেঘনা নদীতে চিংড়ি মাছ ধরার ফাঁদ পাতা নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুজন মিয়া ও রোজিনা আক্তার নামে দু’জন খুন হন। আহত হন অন্তত আরও ১০ জন। এ নিয়ে এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটিতে আসা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমনকে ক্ষমতাসীনদের একটি পক্ষ দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে ক্ষমতাসীনদের আরেক পক্ষ নিরীহ গ্রামবাসীর ৩০-৩৫টি বসতবাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও তাদের অপতৎপরতায় অসহায় হয়ে পড়েছিল।

গত কয়েক বছরে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুন হয়েছেন- সৌদিপ্রবাসী রাসেল মিয়া, পূর্বকান্দির আবদুর রব, মাদ্রাসাছাত্রী শারমিন আক্তার, হাজিরটেকের জয়নাল আবেদীন, কদমীচরের আবদুস সালাম, আমান, লাল মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমন এবং সর্বশেষ সুজন মিয়া ও রোজিনা আক্তার। ২০১১ সালে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল হক ডালিম গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে

মেঘনা নদীতে ডুবে মারা যান খাগকান্দা নৌফাঁড়ির এসআই নাসির সিরাজী। এ ছাড়াও গুম হয়েছেন খালিয়ারচরের শরীফুল ইসলাম শরীফ আর পঙ্গু হয়েছেন হাজিরটেকের সাইদুল ইসলাম, কালাপাহাড়িয়ার আবদুল বারেকসহ অনেকে।

স্থানীয়রা জানান, সহিংসতার সময় এখানে ব্যবহার করা হয় টেঁটা, বল্লম, ছুরি, রামদাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেলসহ কয়েক প্রকার বিস্ম্ফোরক দ্রব্য। পুলিশ তৎপরতার অভাবে বর্তমানে এ এলাকায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের সমারোহ ঘটেছে। সন্ধ্যা হলেই অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় সশস্ত্র গ্রুপগুলো।

এ ব্যাপারে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল বলেন, প্রশাসনের তৎপরতার অভাব, দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্রের সহজপ্রাপ্তি ও

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার না করায় দিন দিন সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হলে ইউনিয়নে আবার শান্তি ফিরে আসবে বলে তিনি আশা করেন।

আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুল হক জানান, ইউনিয়নটি চারদিকে পানিবেষ্টিত। তাই স্পিডবোট বা নৌকা ছাড়া কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় যাওয়া কঠিন। এ সুযোগ নেয় বেশ কয়েকটি পক্ষ। নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তবে বর্তমানে ওই এলাকা পুলিশের শতভাগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে কোনো সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া গেলে অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD