নিউজ ডেস্ক,রবিবার,নরসিংদী প্রতিদিন,২২ জুলাই ২০১৮: রুটি সঙ্গে ডাল-ভাজিতে সকালের নাস্তাটা মন্দ হয় না। অনেকের তো প্রিয় খাবার এই রুটি। কোনও কোনও দেশে তো রুটিই প্রধান খাবার। আবার অনেকে শুধু রুটি খেলেই জীবনধারণ করেন। অথচ আমরা অনেকেই জানি না, পৃথিবীতে রুটির একটি ঝুড়ি আছে! শুনে অবাক হবেন অনেকেই। কিন্তু অবাক হলেও সত্যিটা এমনই।
কোথায় সেই রুটির ঝুড়ি? আসলে এটা প্রচলিত রুটির কোনও ঝুড়ি নয়। পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি বলতে আসলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেইরি অঞ্চলের উত্তর ভাগের লোহিত নদীর উপত্যকা অঞ্চলকে বোঝায়। খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হওয়ায় দেশটির এরূপ নামকরণ।
এক সময় প্রায় ১৪২ মিলিয়ন একর এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ ছিল বিশ্ববিখ্যাত এই প্রেইরি অঞ্চল। সম্পূর্ণ আমেরিকার প্রায় ৪০ ভাগ জুড়ে ছিল এর বিস্তৃতি। পরবর্তীকালে সময়ের সাথে সাথে তা ছোট হতে শুরু করে। সেখানকার উষ্ণ জলবায়ু ও মাঝারি আকারের বৃষ্টি শস্য উৎপাদনে দারুণ সহায়ক।
নিজেদের চাহিদা মিলিয়ে গোটা বিশ্বে প্রচুর খাদ্য সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই খাদ্যের অধিকাংশই উৎপাদিত হয় প্রেইরি অঞ্চলে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এ খাদ্যশস্যে নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছে এবং সঙ্গে প্রয়োজন মেটাচ্ছে বিশ্বব্যাপী মানুষের। তারপরও আমেরিকার কৃষি নেতৃত্ব এখন চীনের কাছ থেকে এক মারাত্মক পরিক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে। চীন নিজস্ব জনগণের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে এর কৃষিখাত সম্প্রসারণে অদম্য উদ্যোগ নিচ্ছে।
গবেষকরা মনে করেন, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ১০০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাকে মোট খাদ্য উৎপাদন আরও ৭০-৮০ ভাগ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে রুটির ঝুড়ি। তাই পৃথিবীর এই রুটির ঝুড়িকে আরও উৎপাদনমুখী করতে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি গবেষকরা।