শরীফ ইকবার রাসেল,নরসিংদী:
অটিজমে আক্রান্ত শিশুনরাও সাধারন মানুষের মতো প্রাণ আছে, তাদেরও মন আছে, তারাও খেলতে চায়, হাসতে চায়, চলাফেরা করতে চায়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, তারা একেক জন একেক রকমের অটিজমে আক্রান্ত। কেউ কথা বলতে পারেনা, কেউ শুনতে পারেনা, আবার কারো হিতাহিত জ্ঞ্যান নেই। তাদের নিয়ে নরসিংদীতে গড়ে উঠেছে সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই স্কুলে যে এই সকল শিশুরা লেখাপড়া করছে সেই কথা শুনে মাত্র ৪ মাসের মাথায় দুই দুই বার স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।
পরিদর্শনকালে তিনি এই স্কুলের শিশুদের সাথে কথা বলেন, তাদের গান শুনেন, নৃত্য উপভোগ করেন এবং শিশুদের খেলাধুলাও উপভোগ করেন। এসময় অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, আপনারা তাদের কারনে বিরক্তবোধ করবেন না। কারন তারাও একদিন আপনার আমার মতো মেধা সম্পন্ন ব্যক্তিতে তৈরী হতে পারে। এখানে কেউই বিরক্তির কারন নয়, এরা ভিন্নভাবে মেধা সম্পন্ন ব্যক্তি। তাই তাদের আদর, সোহাগ, মমতা ও স্নেহ দিয়ে বড় করে তুলতে হবে। তাহলেই একদিন তারা দেশের বিভিন্ন কাজে অবদান রাখবে। এসময় তিনি তার সন্তানের কথা স্মরন করে শিশুদের দিকে তাকিয়ে থেকে মায়ের মমতা দিয়ে আদর করেন। কখনো তাদের মাথায় হাত বুলান, আবার কখনো মুখে হাত বুলিয়ে আদর করেন, তাদের সাথে কথাও বলেন। শিশুরা আদর আর সোহাগ পেয়ে নিজেকে অনেকটাই আপন করে নেয় জেলা প্রশাসককে।
বঙ্গবন্ধুর ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের তিনদিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে নরসিংদীর সুইড স্কুলের শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থানায় আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুষমা সুলতানা, জেলা প্রশাসনের গোপনী কর্মকর্তা আরাফাত মোহাম্মদ নোমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার আবু কাউসার সুমন, জেলা ক্রীড়া অফিসার ফারজানা আক্তার সাথী, প্রতিবন্ধী সাহায্য ও সেবা কেন্দ্রের ডা. আশরাফুল আলম মাসুম, সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দীন সরকার প্রমূখ।
সবশেষে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।