1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

সড়ক ‘নিরাপদ’ করতে আঁটঘাট বেঁধে নামছে ডিএমপি

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৩৬৯ পাঠক

নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮:
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘বাসস্টপ নির্ধারণের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে। সড়কে যত্রতত্র বাস থামানো যাবে না। বাস থামানোর জন্য আমরা স্টপেজ নির্ধারণ করে দেবো। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজে যাওয়ার পথে কোথাও বাস থামানো যাবে না এবং বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই স্থানগুলো চিহ্নিত করে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে যত্রতত্রভাবে রাস্তা খোড়াখুড়ির কারণেও যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমরা লক্ষ করেছি বড় যানবাহন না সাথে মোটরসাইকেল সংখ্যাও বেড়েছে এবং তারা বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। বাসগুলো পারপারিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলতে গিয়ে সড়কে যেমন যানজট তৈরি করে আবার অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটে। সেগুলো কে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমরা কাজ করে চলছি। তবে আমাদের নাগরিকদের মেধ্য আইন না মানার একটা প্রবনতা লক্ষ করা গেছে। প্রত্যেকে যদি আমরা আইন না মানি তাহলে পুলিশের দাড়া সম্ভব না সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।’
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মিডিয়া সেন্টারে মাসব্যাপী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মাসব্যাপী ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো সেপ্টেম্বর মাস ব্যাপী আমরা ঢাকা মহানগরীতে একটি বিশেষ ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করব। যে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ ও উদেশ্য হবে ট্রাফিকের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, যানজট নিরসন, গাড়িগুলো যাতে সারিবদ্ধ ভাবে চলে, যত্রতত্র গাড়িগুলো যেন পার্কি না হয় এবং সকলে যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সেই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা। এই কাজে আমরা বাংলাদেশ পুলিশ, ডিএমপি এবং রোভার স্কাউটকে আমরা অন্তর্ভুক্ত করেছি। মাসব্যাপী প্রতি পালায় ৩২২ জন ওভার স্কাউট বিভিন্ন স্পষ্পে আমাদের সাথে কাজ করবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা দেড় বছর ধরে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অভিযান পরিচালনা করেছি তবে সেইগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা অপ্রতুল। হাইড্রোলিক হর্ণ, উল্টা পথে চলা, বিভিন্ন পেশাজীবিদের স্টিকার লাগিয়ে ট্রাফিক আইন অমান্য, কালো গ্লাস ব্যবহার, মোটরসাইকেলে হেলমেট না পড়া এবং দুইজনের অধিক যাত্রী উঠা এইগুলোর বিরুদ্ধে গত দিনগুলোতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এই পর্যন্ত ৬ লক্ষ ২৬ হাজার মামলা হয়েছে চালক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে।’

আরও একটি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ঢাকা মহানগরীতের চালু করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা প্রায় ৯৯ লক্ষ মামলা দিয়েছি ভিডিও মামলা। যেটা ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি নতুন মাত্র যোগ করেছে। অনেকে ফুটপাতে মোটরসাইকেল জনগণের ওপর চালিয়ে দেয়। এটা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’

আছাদুজ্জামান মিয়া জোরালোভাবে বলেন, ‘মোটরসাইকেলে তিনজন চড়া, লাইসন্সেবিহীন চালানো, হেলমেট না পড়া এবং হেলমেট ছাড়া কোনো রাইডারকে পাম্প থেকে তেল না দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা হেলমেট না থাকলে তেল না সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মোটরসাইকেল যত্রতত্র ভাবে পাল্লাপাল্লি করে যেন না করে সেটা আমরা দেখব। আর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলোতে আমরা চেক পোস্ট তৈরি করব। সেখানে রাস্তার পাশে গিয়ে গাড়িগুলোর কাগজপত্র পরীক্ষা হবে।’

মোটরযান মালিকদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা সকল গাড়ির কাগজপত্র আপডেট রাখবেন। বৈধ্য কাগজপত্র ছাড়া কোনোভাবেই ড্রাইভার নিয়োগ দেবেন না। যে বাসগুলো চলবে সেই বাসগুলোর ড্রাইভারদের বেতন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোনোভাবেই চুক্তিতে গাড়ি ভাড়া দেওয়া যাবে না। যারা চুক্তিতে গাড়ি দেবে তাদের রুট পারর্মিট বাতিল করবো। এই ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর প্রত্যক স্কুল সকালে খোলার সময় ও বিকালে বন্ধের সময় ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া স্কুলের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সকলনের সম্মিলিত উদোগ্যে ও প্রয়াসে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সড়কে নিরাপদ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারি, সড়কে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারি, আমরা দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারি।’

প্রাইভেটকারের চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে যারা ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড লাগিয়েছেন, তারা যেন সেগুলো খুলে ফেলেন। যারা অবৈধ হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার করেন, তারাও এগুলো আর ব্যবহার করবেন না। এসব ব্যবহার করলে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণিপেশার মানুষকে বিবেচনায় নেয়া হবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে রুটে যতটা গাড়ির পারমিট দিয়েছে বিআরটিএ। ওই রুটে ঠিক ততটাই গাড়ি চালাতে পারবে পরিবহন কোম্পানিগুলো। এর বেশি চলতে পারবে না। সেদিকেও ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।’

ফুটপাত নিয়ে প্রশ্ন করলে কমিশনার বলেন, ‘ফুটপাত পরিষ্কার করা হবে। এরই মধ্যে অনেক ফুটপাত দখলদারিত্ব বন্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও দখলমুক্ত করা হবে। রাজউক ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ চলছে। জনগণের হাঁটাচলার ফুটপাত ফিরিয়ে আনা হবে। বিশেষ করে বাংলামোটর থেকে মগবাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পার দখল হয়ে গেছে। সেটাও ফিরিয়ে আনা হবে। রাজউক অভিযান চালাবে শিগগিরই।’

নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া বাস থামবে না:
ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১২১টি বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস না থামানো যাবে না। এগুলোতে বোর্ড লাগানো হচ্ছে। এসব স্থানের বাইরে কেউ বাস থামাতে পারবে না। পাশাপাশি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাসের দরজা খুলবে না, বন্ধ থাকবে। যাত্রীরাও বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে পারবেন না। যেখানে সেখানে যেন যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থেকে যানজট না করে সেজন্য আমরা পুলিশ ও রোভার স্কাউট মিলে ব্যবস্থা নিব। ফুটওভার ব্রীজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিংয়ের কাছে যেন বাসগুলো দাড়ায় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সারা রাস্তাজুড়ে যে যাত্রীরা না থাকে। নির্দ্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকবে সেখান থেকে তারা বাসে উঠবে। সেপ্টেম্বর মাসে জাহাঙ্গীর গেট থেকে জুড়ো পয়েন্ট পর্যন্ত এটা একটা মডেল হিসেবে কাজ করবে। পরে তা আমরা সারা রাজধানী জুড়ে ছড়িয়ে দিব।

বাসে চালক-সহকারীর ছবি ঝুলাতে হবে:
বাস চালকদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে সকল বাসে ড্রাইভার ও চালকদের ছবিসহ নাম টানাতে হবে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি না চালানো এবং চুক্তি ভিত্তিক কেউ বাস চালাবেন না। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করবেন না। নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকায় আপনারা গাড়ি পার্কিং করবেন। বাস স্টপএজ ব্যতীত অন্য কোথাও যাত্রী উঠানো বা নামানো যাবে না। বৈধ্য ড্রাইভিং লাইসেন্স সাথে রাখার জন্যও বাস চালকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

রাস্তা পারাপার:
ফুটওভার ব্রীজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে। রাস্তার মাঝখান দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না। আমরা এসব বন্ধে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ঘোষণা দিব। যদি এরপরও কেউ পারাপার হয় তাহলে আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিব। মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার হবেন না।

নিবন্ধন ছাড়া কোনও রিকশা চলবে না:
রাজধানীতে অতিরিক্ত রিকশার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকাকে রিকশার শহর বলা হয়। আমরা দেখি যেসব রিকশা মফস্বল শহরে অনুমতি ছিল সেগুলো রাজধানীতে চলে আসছে। আর এসব কারণে শৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকায় রেজিস্টার্ডভুক্ত না এমন যে কোন ধরনের রিকশা পেলে আমরা জব্দ করব এবং সেগুলো চলতে দেওয়া হবে না।

রাজধানীতে কোনও লেগুনা চলবে না:
ঢাকা মহনগরীতে কোন ধরনের লেগুনা বা হিউম্যান হলার চলার কথা নয়। আমরা সুষ্পষ্ট ভাবে সুনিশ্চিত করব ঢাকা মহানগরীতে কোনভাবে লেগুনা চলবে না। লেগুনা চলবে শহরের বাইরে। যেখানে তাদের রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঢাকা মহানগরীতে কোনো লেগুনা চলতে দেয়া হবে না।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD