লক্ষন বর্মন, নরসিংদী প্রতিদিন, বৃহস্পতিবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮: নরসিংদীর শীলমান্দী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সৈকত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শীলমান্দী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে নিহত সৈকত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নিহতের মা জোস্না বেগম, স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার নিশি, নিহতের জামাতা আসাদোজ্জামান আসাদ, নিহতের বোন ফরিদা বেগম, শাহিদা বেগমসহ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।

নিহতের ভগ্নীপতি আসাদোজ্জামান আসাদ বলেন, নিহত সৈকত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুস্কৃতিকারীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনার প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রশাসনের নিশ্চুপ ভূমিকা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। পুলিশ ও নরসিংদীর পৌর মেয়র মিলে খুনিদের বাচাতে পায়তারা করছে। ইতিমধ্যে প্রশাসন ২৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হত্যা হুকুমকারী নরসিংদীর পৌর মেয়রের আদরের ভাগিনা রনিকে মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা করছে।
আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

নিহত যুবলীগ নেতা সৈকতের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার নিশী শিশু সন্তান সাদকে নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী ব্যবসা করতো। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করছে আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
যুবলীগ নেতা সৈকতের মা জোস্না বেগম ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য: নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও দক্ষিণ শীলমান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী হাজী রুস্তম আলীর ছেলে মাহমুদুল হাসান সৈকত গত ২৪ মার্চ দুপুরে তার নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ২৭ মার্চ সকালে শিবপুর পুরানদিয়া জামতলা নামক স্থান থেকে সৈকতের মৃতদেহ ও প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে পুলিশ।