শরীফ ইকবাল রাসেল,নরসিংদী:
নরসিংদীর ছেলে জাবেদ খান এবার স্থান পেয়েছেন ফুটবলের জাতীয় দলের ২৩ জনের দলে। এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অভিজ্ঞদের মাঝে স্থান করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের তরুণ ও উদিয়মান ফুটবলার জাবেদ খান। চূড়ান্ত দলে স্থান পেয়ে অনেকটাই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত এই উদীয়মান ফুটবল তারকা। একই সাথে ফরোয়ার্ড হিসেবে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় তরুণ এ ফুটবলার জাবেদ খান।
আগেও একবার জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছিলেন তরুণ এই ফুটবলার জাবেদ খান। কিন্তু লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে সেই প্রাথমিক দলের পর শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি চূড়ান্ত দলে। এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মূল দলে নিজের নাম দেখতে পেয়ে খুশি ও আনন্দিত উদিয়মান এই ফুটবলার।
সেই আনন্দের কথা জানালেন জাবেদ খান, জাতীয় দলে ২৩ জনের মধ্যে স্থান পাবো চিন্তাও করতে করিনি, তবে হালও ছাড়িনাই, চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার কাছে বিষয়টা কিছু অবাক করার মতোই মনে হচ্ছে। কোচ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন, সেই জন্যে কোচের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। জাতীয় দলের চূড়ান্ত পর্বে তালিকায় নিজেকে যুক্ত হওয়ায় অনেকটা ভালো লাগছে।
এবার চূড়ান্ত দলে নাম থাকায় কোচের আশা পুরণের পাশাপাশি দলকে কিছু দানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য সুবাতাস বয়ে আনতে চান জাবেদ। এরসাথে জাতীয় দলের স্থানটা পাকাপোক্ত করতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়ে জাবেদ খান আরো জানান, সেরা একাদশে স্থান পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে জাতীয় দলে স্থায়ী আসনটা করতে চান।
চট্টগ্রাম আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা, শেখ জামাল হয়ে আসন্ন মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলে মাঠ মাতাবেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের হয়ে। এরআগে জাতীয় দলের হয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে কিছু করে দেখাতে চান জাবেদ। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দল ভালো খেলবে বলে প্রত্যাশা করেন জাবেদ। সাথে সাথে সুযোগ পেলে অবশ্যই ভালো কিছু করার দিকে দৃষ্টি দিবেন বলে জানান।
ফুটবলের জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপুর দৃষ্টিতে জাবেদ খান তরুণ, তার মধ্যে তারুণ্য আছে এবং তারমধ্যে সম্ভাবনা দেখছেন, সেই ভাবনা থেকেই ফুটবলার জাবেদ খানকে নিয়ে মূল্যায়নের অংশ হিসেবে এবার জাতীয় দলের চূড়ান্ত দলে স্থান দিয়েছেন।
জাবেদ খান এর নিজ বাড়ি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার চরনগরদী গ্রামে। তিনি জিআরসি’ মাঠ থেকে ফুটবলের হাতেখড়ি জাবেদ খান’র। তার ভাই ফুটবলার তাজুল খানের অনুপ্রেরনায় জাবেদ খানের ফুটবলের পথ চলা। এরপর থেকে একে একে দেশের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলতে যাওয়া এই উদিয়মান ফুটবলারকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।