নিজস্ব প্রতিবেদক*
নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮:
পলাশে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পলাশ থানায় ওই ইউপি সদস্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত ওই স্কুল ছাত্রীর মা। মামলার আসামিরা হলেন, গজারিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য আলতাফ হোসেনসহ বারেক মিয়া ও জয়নাল হোসেন।
পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তাফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে জয়পুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী তার দাদীর ঘর থেকে নিজের ঘরে ফিরছিলেন। এসময় একই গ্রামের (প্রতিবেশী) মনা মিয়ার ছেলে জয়নাল হোসেন (৩৫) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশের একটি ঝোঁপে নিয়ে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির পরিবার অনেক খোঁজাখুজি করে বাড়ির পাশের নির্জন ঝোঁপ থেকে উদ্ধার করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির মা অভিযোগ করে নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করার পর তার কাছ থেকে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে জানতে পারি। পরে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও অভিযুক্ত জয়নালের চাচাতো ভাই বারেক মিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে বারেক মিয়া এ ঘটনায় থানায় মামলা না করতে বাধা প্রদান করেন। অন্যথায় প্রাণে মেরে ফেলবে, নয়তো এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন থানায় মামলা না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে আপোষের প্রস্তাব দেন। পরে আমি বিচারের আশায় পলাশ থানায় ইউপি সদস্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার বিনিময়ে আপোষ করার বিষয়ে অস্বীকার করলেও ধর্ষণের বিষয়ে আপোষ করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছে দুই পক্ষ-ই এসে আপোষ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। পরে আমি তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টা করি।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তাফা নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।