1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নরসিংদী-১: ধারাবাহিকতা চায় আ.লীগ, বিএনপি চায়

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৩৩২ পাঠক

প্রকাশিত ডেস্ক-
নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৮:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই দলেই দুজন শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ঘিরে চলছে নির্বাচনের রাজনীতি। আওয়ামী লীগে আছেন একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। ভেতরে ভেতরে কোন্দল থাকায় ঘর সামলাতে ব্যস্ত দলটি। অন্যদিকে বিএনপি অনেকটা নির্ভার। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয়জন, বিএনপি থেকে দুজন। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, আওয়ামী লীগের কোন্দল না মিটলে এর সুযোগ নেবে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ-
নরসিংদী-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জি এম তালেব হোসেন, তাঁতী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আনোয়ার হোসেন এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আইয়ুব খান।

দলের একটি সূত্র বলছে, লোকমান হত্যাকাণ্ডের পরপরই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সে সময় কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মী দলীয় কার্যক্রম থেকে ছিটকে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক নতুন মুখ আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত হয়। ছিটকে পড়া সেই ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দলের কার্যক্রমে যুক্ত করতে না পারলে এর সুযোগ নেবে বিএনপি।

দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, যেকোনো সময়ের চেয়ে নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ এখন অনেক বেশি সংগঠিত। এই আসনের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করেছেন বর্তমান সাংসদ নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া আইয়ুব খান এলাকায় গণসংযোগ করেছেন, মানুষের কাছে নৌকায় ভোটও চেয়েছেন।

আইয়ুব খান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে, তা থেকে নরসিংদী অনেকটা পিছিয়ে। তাই সদর আসনে দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে নেত্রী যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, তাঁর জন্যই সবাই মিলে কাজ করব।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ, গত ১০ বছরে নরসিংদী সদরের নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নে নিরলস চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীকে সুসংগঠিত করেছি। এর জন্যই দ্বিতীয়বার সাংসদ হওয়ার পর আমাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জেলার পাঁচটি আসনেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব আমরা।’

বিএনপি-
দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন এবং চারবারের সাবেক সাংসদ সামসুদ্দীন আহমেদ এছাকের ছেলে ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

১৯৯১ থেকে ২০০৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই আসনে টানা চারবারের সাংসদ ছিলেন সামসুদ্দীন আহমেদ এছাক। তাঁর সময় নরসিংদী-১ আসন ছিল বিএনপির ঘাঁটি। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদীর পাঁচটি আসনেই ধানের শীষের জয় হয়েছিল। পরে বিভিন্ন সময় জেলার অন্য আসনগুলো হাতছাড়া হলেও এক-এগারো পূর্ববর্তী পর্যন্ত সদর আসনে একক কর্তৃত্ব ধরে রাখে বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসন হাতছাড়া হয় বিএনপির।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের আচরণ লক্ষ করছে বিএনপি। তাতে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন না। বিগত সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে মামলা-হামলা ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে এবং এটা এখনো হচ্ছে, এতে তাঁরা বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না। নরসিংদীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে। এখনো গ্রেপ্তার আছেন কয়েক শ নেতা-কর্মী। জামিনে এসে নির্বাচনের তৎপরতা চালাচ্ছেন অনেকেই। নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির নেতাদের গণসংযোগ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। অথচ সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল, মিটিং ও গণসংযোগ করেছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে আগে দলীয় কোন্দল ও বিভেদ থাকলেও বর্তমানে এক সারিতে এসে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির নেতারা। এককভাবে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন খায়রুল কবির। নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে আমরা মাঠে আছি। যেকোনো পরিস্থিতি আমরা রাজনৈতিকভাবেই সামাল দেব।’

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন এই আসনের চারবারের সাংসদ। আমার মা রোকেয়া আহমেদ ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ। আমার ছোট ভাই কবির আহমেদ বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। আমার বাবার সময় এই আসন ছিল বিএনপির দুর্গ। আমি দল থেকে মনোনয়ন পেলে এই আসনকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’

খায়রুল কবির বলেন, ‘দুর্নীতি, লুটপাট ও মামলা-হামলার কারণে সাধারণ মানুষের মনে আওয়ামী লীগের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে নরসিংদীর পাঁচটি আসনেই বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হবে। আমি অবশ্যই দলীয় মনোনয়ন পাব এবং এই আসন দলকে উপহার দেব।’

খবর: প্রথম আলো- প্রণব কুমার দেবনাথ, নরসিংদী, ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩৭।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD