1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

২৭ ব্যাংকে অলস পড়ে আছে ৮ কোটি টাকা, কেউ নেই দাবিদার!

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৩৪৯ পাঠক

অনলাইন ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯:

ব্যাংকে জমা রাখা ৮ কোটি টাকার কোনো দাবিদার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের ২৭টি ব্যাংকের হিসাবগুলোতে এ ধরনের ৮ কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যার কোনো দাবিদার নেই।

১০ বছর ধরে লেনদেন না হওয়া হিসাবগুলোর টাকা ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পরের বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৭টি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করেছে।

তাতে বেশিরভাগ হিসাবেই অল্প টাকা জমা থাকলেও লাখ টাকার বেশি জমা থাকা বেশকিছু হিসাবও রয়েছে তালিকায়। এসব হিসাবধারী বা তাদের স্বজনদের খোঁজে নিজস্ব ওয়েবসাইটে ব্যাংকভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো হিসাবে একটানা ১০ বছর কোনো লেনদেন না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ওইসব হিসাবের বিস্তারিত তথ্যসহ হিসাবে জমা থাকা টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়।

ব্যাংকের নাম, হিসাবধারীর নাম-ঠিকানা, হিসাব নম্বর ও সর্বশেষ স্থিতি অনুযায়ী তাতে কত টাকা জমা আছে, তার বিস্তারিত বিবরণ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তালিকা প্রকাশের দুই বছরের মধ্যে হিসাবধারী বা তাদের স্বজনরা উপযুক্ত প্রমাণসহ যোগাযোগ করলে

টাকা ফেরত পায়। টাকার দাবিদার পাওয়া না গেলে হিসাবগুলোতে থাকা পুরো টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা সরকারের হিসাবে জমা হয়। তারপরে আর ওই টাকা ফেরত পাওয়া যায় না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ব্যাংক হিসাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেশকিছু হিসাবে ১ লাখ টাকার বেশি অর্থ জমা জমা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদরের বিন্নাবাড়ির ইয়াসিন আলী ফকিরের সঞ্চয়ী হিসাব (৬৬৫) উত্তরা ব্যাংকের সিরাজগঞ্জ শাখায়। হিসাবটিতে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি।

ওই হিসাবের ১ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। একই চিত্র দেখা গেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় মো. বাদশা আলমের হিসাব নম্বর ০১০৩১২১০০০১২৭৩৮। হিসাবের ঠিকানায় লেখা রয়েছে ‘ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি টু দ্য অনারেবল প্রেসিডেন্ট’।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ডরমেট হিসাবের যে তালিকা দিয়েছে, তাতে ১০ বছর ধরে লেনদেন না হওয়া সিটি ব্যাংকের হিসাবগুলোতে ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংকে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার, এইচএসবিসি ব্যাংকে ৭১ লাখ টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকে ৬০ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৫ লাখ ৯০ হাজার হাজার, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এ ৩২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাবের ক্ষেত্রে ১০ বছর ধরে লেনদেন না হওয়া হিসাবগুলোর হিসাবধারীর সঙ্গে ব্যাংকগুলো যোগাযোগ করে। তাতেও ব্যাংক কোনো সাড়া না পেলে পরের বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়।

মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তির ১০ বছর তিন মাস পরও আমানতকারীর খোঁজ পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় থাকা ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে’ জমা দেয়।

পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব হিসাবের বিস্তারিত বিবরণ ওয়েবসাইটে এক বছর ধরে প্রচার করে। তারও এক বছরের মধ্যে কোনো হিসাবধারী বা স্বজনরা প্রমাণসহ যোগাযোগ না করলে টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়ে যায়।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD