নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
মঙ্গলবার,১৫ জানুয়ারি ২০১৯:
সুশাসন নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
তিনি বলছেন, ‘আগামী দিনে আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ‘গুড গভার্নেন্স’ অর্থ্যাৎ ‘সুশাসন নিশ্চিত করা’।’ তবে তিনি সুশানকে শুধু শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছেন না।
এইচ টি ইমাম মনে করেন, সুশাসন নিশ্চিতের সকল অঙ্গীকার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে। ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব হলেই কেবল সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত পাঁচ উপদেষ্টা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এর পর সেখান থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ এবং মাদক তিনটি বিষয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ‘এ তিনটিই আমাদের প্রধান শত্রু। শুধু দুর্নীতি নয় অপচয় কমানোর দিকেও আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। অনেক প্রকল্প আছে যেগুলোতে আমরা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খরচ করে ফেলি। এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। জঙ্গিবাদ দমন করে রাখতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। তখন আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’
টানা দশ বছর সরকার পরিচালনার পর এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনা শুরু করছে আওয়ামী লীগ। দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিশেষ কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা- জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে কী কী করবেন তা তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও তার সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে।’
তরুণ্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারুণ্য এবং তারুণ্যেই সমৃদ্ধি। এদিকে আমাদের বিশেষ ফোকাস থাকবে। আমরা সকলকে নিয়ে শহর আর গ্রামের মধ্যে কোনও পার্থক্য রাখবো না। আমার শহর, আমার গ্রাম একই হবে। অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলেও উন্নয়ন সমানভাবে হবে। গ্রামগুলোকে আমরা এককভাবে নিয়েছি, এখন সামনে চ্যালেঞ্জ হলো কত দ্রুততম সময়ে আমরা এগুলো করতে পারি।’
ডাবল ডিজিটের প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ‘যে গতিতে আমরা গত দশ পার করেছি, বিশেষ করে গত পাঁচ বছর- এখন আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮। এ প্রবৃদ্ধির হারকে ডাবল ডিজিটে নিতে হবে। অন্তত ১০’র কাছাকাছি যেতে হবে। ডাবল ডিজিটে যেতে হলে যে প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া এবং বাস্তবায়নাধীন আছে সেগুলো আরও দ্রুতভাবে সুন্দর ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পুনরায় নিয়োগ পাওয়া অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রমুখ।