খেলাধুলা ডেস্ক । নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার,৩০ জানুয়ারি ২০১৯:
প্লে অফে ইতোমধ্যেই চলে গেছে তিন দল। চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে যেতে এখনো চলছে সমীকরণ। এ সমীকরণে ছিল সিলেট সিক্সার্সের নামও। তবে রাজশাহীর কাছে হেরে বিদায় নিতে হল তাদের। অন্যদিকে, সিলেটকে হারিয়ে প্লে অফে যাওয়ার আশার ভেলায় ভাসছে রাজশাহী।
হারলেই বিদায় এমন সমীকরণে মাঠে নেমেছিল সিলেট-রাজশাহী। মিরাজের রাজশাহী ৫ উইকেটে জয় পেয়ে এখন তাকিয়ে আছে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস এর দিকে। ঢাকা যদি শেষ দুই ম্যাচে হেরে যায় তবেই শেষ চারে সরাসরি চলে যাবে রাজশাহী। আর দুইটি ম্যাচেই ঢাকা জিতে গেলে বাদ পড়ে যাবে রাজশাহী। ঢাকা দু’টি ম্যাচই জিতে গেলে সামনে চলে আসবে নেট রানরেটের হিসেব। রানরেটে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই হাসবে শেষ চারের হাসি।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারে ছক্কা হাকানো লিটনকে সে ওভারেই সাজঘরে পাঠিয়ে দেন আরাফাত সানি। দ্বিতীয় উইকেটে জেসন রয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আফিফ।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৮ বলে ১৩ রান করেন রয়। তৃতীয় উইকেটে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন আফিফ এবং সাব্বির। তবে খুব বেশি বাউন্ডারি নির্ভর হয়ে পড়ায় ৪৬ রানের জুটি গড়তে তাদের প্রয়োজন হয় ৪০ রান। তবে থেমে যায় আফিফের ব্যাট। ২৫ বলে ২৯ রান করে ফিরেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে সাব্বির জুটি গড়েন নিকলাস পুরানের সঙ্গে। ৫৩ রানের বেশ বড়সড় জুটি গড়ে দু’জন। ১৬তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন সাব্বির। শেষদিকে একাই ঝড় তোলেন নিকলাস পুরান। শেষ চার ওভারে তার ঝড়ো ব্যাটেই ৪৮ রান পায় সিলেট। মাত্র ২১ বলে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। শেষপর্যন্ত ৬টি করে চার-ছক্কার মারে ৩১ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন পুরান।
১৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে বেশ নির্ভারই ছিল সিলেট। মনে হচ্ছিল তারা সহজেই জয় পেয়ে যাবে।
বিশাল এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সবকিছু বদলে দেন লরি ইভানস এবং রায়ান টেন ডেসকাট। এ দুই বিদেশি মিলে মাত্র ৪৫ বলে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। ইভানস ৩৬ বলে ৭৬ এবং ডেসকাট ১৮ বলে ৪২ রানের ঝড় তুললে পাক্কা ২ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী কিংস।
এর আগে, দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন রাজশাহীর ওপেনার জাকির হাসান। তবে অন্য প্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন ক্যারিবিয়ান জনসন চার্লস। যে কারণে তিনে নামা শাহরিয়ার নাফিস ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক করতে না পারলেও রানরেটটা কখনোই কমেনি রাজশাহীর। সপ্তম ওভারের শেষ বলে অলক কাপালির প্রথম শিকার হয়ে আউট হওয়ার আগে নাফিস ১৩ বল থেকে করেন ৯ রান।
নিজের পরের ওভারেই চার্লসকেও ফেরান সিলেট অধিনায়ক কাপালি। আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৭ চারের মারে ৩৯ রান করেন চার্লস।
এরপরই জুটি বাঁধেন লরি ইভানস এবং রায়ান টেন ডেসকাট। তবে ডেসকাট এবং ইভানসের কেউই ম্যাচ শেষ করে ফিরতে পারেননি। ১৭তম ওভারে আউট হন দুজনই। ১০ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩৬ বল থেকে ৭৬ রান করেন ইভানস, ১৮ বলে ৪২ রান করার পথে ৩টি চারের সঙ্গে হাঁকান ২টি বিশাল ছক্কা। শেষদিকে ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার ৮ এবং সৌম্য সরকার ২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন।