নিউজ ডেস্ক । নরসিংদী প্রতিদিন-
রবিবার,০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে তাবলিগ জামাতের মধ্যে যে বিভেদ ছিল তা ইতোমধ্যেই মিটে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে। ইজতেমা আয়োজনের কাজ চলছে।’
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তাবলিগ জামাতের আসন্ন ইজতেমা বিষয়ে দুপক্ষের নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইজতেমার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ইজতেমা ময়দান পরিষ্কার এবং যাবতীয় ইউটিলিটিজের ব্যবস্থা করা হবে। তবে ইজতেমার বাকি কাজ কীভাবে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।’
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘মাঠে কে ইমামতি করবেন, কে নেতৃত্ব দেবেন, সেসব খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুপক্ষ মিলে যাতে সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে জানানো হয়, আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী ময়দানে পবিত্র হজের পর মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জানানো হয় এবার আর দুই দফায় নয়, একবারই হবে ইজতেমা।
ওই বৈঠকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তাবলিগের দুপক্ষকে এক করা হয়েছে। তারা এক হয়ে এবার ইজতেমা আয়োজন করবে। ইজতেমা ঘিরে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।’
তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষ ও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ এবং ইজতেমা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করলে গত ২৭ জানুয়ারি আদালত রিট ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেন এবং ইজতেমা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়াকে ‘কলঙ্কিত’ বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতেই তাবলিগ জামাতের মধ্যে এখন দ্বিমত রয়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এসব বিষয় সমাধানের জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের দুজন করে চারজন মুরব্বির সমন্বয়ে আলোচনায় বসবেন।’
রবিবার দুপুরেই সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাবলিগ জামাতের মধ্যে দুটি বিবাদমান পক্ষ রয়েছে। উভয়পক্ষই ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবাই মিলে একসঙ্গে ইজতেমা অনুষ্ঠান করবেন। এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই।’
বৈঠকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।