লক্ষন বর্মন। নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
আজ ১৪-ই ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালবাসা দিবস। সারাবিশ্বের আনাচে-কানাচে দিনটি “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস” হিসেবে পালন করা হচ্ছে৷ বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই এই দৌড়ে৷ বিশেষ করে তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীদের মাঝে এই দিবসের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়৷
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী রেল স্টেশনে ভালবাসা দিবস নয় বিশ্ব বেহায়াদিবস দিবস উল্লেখ্য করে নরসিংদীর কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা তাদের ফ্রেন্ডসার্কেল বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে এই প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
আসুন জেনে নেই, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস এর বিবরণ: ২৬৯ সালে ইতালির রোমে “সেন্ট ভ্যালেন্টাইন” নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন যিনি খৃষ্টানধর্ম প্রচারের পাশাপাশি তরুণ যুবকদের গোপন প্রেমের মন্ত্র দীক্ষা দিতেন৷ রোমান সমাজে তখন খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল বিধায় তৎকালীন রোমান সম্রাট “দ্বিতীয় ক্লডিয়াস” তাকে বন্দী করেন৷ বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন৷ একপর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় সেই “সেন্ট ভ্যালেন্টাইন” এর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়৷
শুধু তাই নয়, মৃত্যুদন্ড কার্যকরের তারিখটি ছিল ১৪-ই ফেব্রয়ারি৷ পরবর্তীতে, ৪৯৬ সালে পোপ “সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস” ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে ১৪ ফেব্রুয়ারী দিনটিকে “ভ্যালেনটাইনস ডে” ঘোষণা ও পালন করা শুরু করেন যা ইহুদী-খৃষ্টান, মুশরিকসহ মুসলিমরাও পালন করে চলছে৷
তবে এই দিনটিতে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় হয় কার্ড, ফুল, চকোলেট ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী ক্রয় করতে এবং আনুমানিক ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়!!!!!
এই দিনটিতে যুবক-যুবতীরা প্রকাশ্যে ব্যাপক সাহস বুকে নিয়ে, আকর্ষনীয় পোশাক পরে সাথে একজন অবৈধ সঙ্গীকে নিয়ে করে বেড়ায়৷ অন্য দিনগুলোতেও এটা চলে, তবে এই দিনে যেন বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায়
বেহায়াপনা ছড়িয়ে পড়ে বলে যব সমাজের দাবি।