দুবাই থেকে এম.শরীফ হোসেন-
নরসিংদী প্রতিদিন | শুক্রবার,২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
বিশ্বের যতগুলো দেশে বাংলাদেশ সরকার শ্রমীক রপ্তানী করে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য একটি দেশ হল মধ্যপ্রাচ্যর সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিভিন্ন অজুহাত ও নানান জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় ৬ বছরের অধিক সময় ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের(দুবাই) শ্রম মন্ত্রনালয় বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য যে কোন প্রকার গ্রুপ ভিসা (কোম্পানির) বন্ধ করে দেয়।এসময় শুধু মাত্র বাসা বাড়ির কাজে বা ব্যাক্তিগত কাজের জন্য শ্রমীক আমদানীর ভিসা চালু রাখা হয়। আর গ্রুপ ভিসার আইনের অধীনে ছিল বাংলাদেশ হতে দুবাই আসতে আগ্রহী নতুন কোন শ্রমীকের জন্য যে কোন প্রকার গ্রুপ ভিসা অর্থাৎ কোম্পানীর ভিসা অনুমোদন বন্ধ,এমন কি দুবাইতে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমীকদের কোম্পানী রিবর্তন করার অনুমোদনও বন্ধ।তবে পূর্ব হতেই এখানে কর্মরত শ্রমীকরা স্ব-স্ব কোম্পানীতে চাইলে ভিসা নবায়ন করতে পারবে বলে উল্লেখ থাকে ।
এদিকে কোম্পানীর ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে অনেকটাই বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশী শ্রমবাজার দেশে বেড়েছে বেকারত্বের হার।সেই সাথে আরও বিপাকে পড়েছে দুবাই বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকরা।তারা বঞ্চিত হচ্ছে নানান সুযোগ সুবিধা হতে,বেতন বৃদ্ধির চাহিদা হতে।
এদিকে, দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় পর ২০১৮ সালের শেষের দিকে আমিরাত শ্রম মন্ত্রনালয় এখানে কর্মরত অবৈধ শ্রমিকের বৈধ হতে সুযোগ প্রদান এবং বৈধরা প্রয়োজনে কোম্পানী পরিবর্তনের সুযোগ রেখে নতুন আইন ঘোষণা করে।যার সুবিধা বাংলাদেশী শ্রমীকরাও নিতে পারবে বলে উল্লেখ রয়েছে।
এ লক্ষ্যে দুবাই সরকারের শ্রম মন্ত্রনালয় কর্তৃক পরিচালিত ফ্রি জোন নামে একটি বিভাগ রয়েছে।যে বিভাগটি এর সুবিধা নিতে ফ্রি জোনে আবেদনকারী কোম্পানীগুলোর মধ্য হতে যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে কয়েকটি কোম্পানীকে এর লাইসেন্স দিয়েছে।
এ লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানী গুলোই একমাত্র বাংলাদেশী শ্রমিক নিতে পারবে।যা অব্যাহত থাকবে সব সময়। কোম্পানীর চাহিদা অনুযায়ী যখন খুশি তারা বাংলাদেশী সহ যে কোন দেশের শ্রমীকদের নিয়োগ দিতে পারবে।
এদিকে,এ আইনটি চালু হবার পর হতে বিভিন্ন কোম্পানী হতে বাংলাদেশী শ্রমীকরা ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে কোম্পানী পরিবর্তনের সুযোগ নিচ্ছে।যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় ইমিরাটস ফলকন ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল নামক একটি কোম্পানী হতে সদ্য ভিসা বদল করে অন্য একটি কোম্পানীতে যোগ দেয়া এক বাংলাদেশীর সাথে।বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৫ হাজার টাকা অধিক বেতন পেয়ে তিনি কোম্পানী পরিবর্তন করেছেন।নজরুল ইসলাম নামে এ বাংলাদেশী শ্রমিক বলেন,দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর এ আইনটি এক অভূত পর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে এখানে কর্মরত বাংলাদেশীদের জন্য।তবে বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ সঠিক কুটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে নতুন ভিসা নিয়ে আসতে আগ্রহীদের ভিসা চালু করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা।