1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নরসিংদী ও গাজীপুরের সীমানায় জেগে ওঠেছে মনোলোভা ধাঁধার চর

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৯
  • ৬৪৬ পাঠক

মো: সাব্বির হোসেন | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার,৪ মার্চ ২০১৯:
শীতলক্ষ্যা নদীর বুকে বিন্দু বিন্দু বালি জমে জেগে ওঠেছে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের ঐতিহাসিক মনোলোভা চর তার নাম ধাঁধার চর। বাংলাদেশর দীর্ঘতম নদী ব্রহ্মপুত্র এই নদীর শাখা হল শীতলক্ষ্যা নদী।আর এই নদীতে জেগে ওঠেছে ধাঁধার চর অনেকে এটিকে মাঝের চর বলেও চিনে। চরের দু’পাশে দুই জেলা নরসিংদী ও গাজীপুর।

এই চরের ইতিহাস থেকে জানা যায়,গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার সাত-আট কিলোমিটার পূর্ব দিয়ে দক্ষিণমুখী হয়ে কাপাসিয়া উপজেলা শহরের মধ্য দিয়ে কালীগঞ্জ, রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদরের ধলেশ্বরী নদীতে মিলিত হয়েছে।এখানেই রয়েছে নৌকা আকৃতির এক বিশাল চর,নাম ধাঁধার চর।এ চরটি লাখপুর, তারাগঞ্জ, রানীগঞ্জ ও চরসিন্দুরের মাঝখানে অবস্থিত।এর আয়তন প্রায় আড়াইশ’ একর। চরের উত্তর-দক্ষিণে শীতলক্ষ্যা নদী, পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদ। দু’দিকে দুই থানা কাপাসিয়া ও শিবপুর।চরটি লম্বায় ৪ কিলোমিটার, চওড়ায় বর্ষায় আধা কিলোমিটার। শীতকালে আরও বিস্তৃত হয়।আনুমানিক ২০০ বছর আগে জেগে ওঠা এই চর স্থানীয়রা কেউ কেউ বলেন মাঝের চর। কারণ এটি ব্রহ্মপুত্র নদ ও শীতলক্ষ্যা নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। একসময় এই চরের নাম-নিশানা ছিলনা,ছিল বহমান নদী। তারপর আস্তে আস্তে বিন্দু বিন্দু বালুকণা জমতে জমতে বেলেমাটিতে পূর্ণ হয়ে একসময় যখন চর জেগে ওঠে, তখন স্থানীয় লোকজন এটি দেখে ধাঁধায় পড়ে যান। সেই থেকে এর নাম ধাঁধার চর।এ চরের ঐতিহাসিক গুরুত্বও কম নয়। জেগে ওঠা চরের মালিকানা নিয়ে ভাওয়ালের রাজা এবং বারভূঁইয়াদের এক ভূঁইয়া মহেষ উদ্দীনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শেষে মালিকানা পেয়ে যান ভাওয়ালের রাজা। তারপর স্থানীয় হিন্দু কৃষকরা ভাওয়ালের রাজাকে খাজনা দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। ১৮১৬-১৮১৯ সালে ব্রিটিশরা এর জরিপ করে এবং খাজনা প্রদানের মাধ্যমে হিন্দু কৃষকদের বৈধ মালিকানা প্রদান করেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পর হিন্দুরা চরের জমি স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে ভারতে পাড়ি জমান।বর্তমানে পুরো চরের মালিকানা মুসলিম কৃষকদের হাতে।১৯৬০,১৯৮৮,১৯৯৮ সালের বন্যায় এ চরটি তলিয়ে যায়।বন্যা শেষে পানি নেমে গেলে মাঠির উর্বরাশক্তি বেড়ে যায়।এখানে একসময় প্রচুর আখের চাষাবাদ হতো।এখন অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষাবাদ হয় বেশি।

সরেজমিনে দেখার জন্য এই চরের কাছাকাছি যখন চলে আসি তখন এটাকে একটা টাইটানিক জাহাজের মতো লাগছিলো,যেন ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজ এখানে অবস্থান করছে। চারপাশে জলের স্রোতধারা মনের গহিনে সত্যিই এক নজরকাড়া দৃশ্যের আগমণ শুরু হতে লাগল।ধাঁধার চরে প্রবেশ করার পর প্রাকৃতিক দৃশ্য যতই দেখছি আর ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম।হয়তো পুরোটা বিশ্লেষন করার ভাষা খুঁজে পাবোনা।আবার কখনো নৌকার সাথে ও তুলনা করে যাচ্ছিলাম।কারনটি হল চরটি নৌকা আকৃতির মতো লাগছিলো।সবুজের মনোরম দৃশ্য আর এখানকার মানুষের সাথে কথা বলে অনেক ভাললাগা মুহুর্তগুলো পার করলাম।

শিবপুরের শাহ আলম গাজী নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন,সময় পেলে বন্ধুরা সবাই মিলে এখানে ঘুরতে চলে আসি।এখানের নয়নাভিরাম ছায়া ঘেরা মনোলোভা প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের কাছে অনেক ভাল লাগে।নলকূপের বিশুদ্ধ পানি,টয়লেটসহ কিছু সুবিধা থাকায় লম্বা সময় এখানে ঘুরা যায়।গ্রামীন পর্যটন কর্পোরেশনের অধীনে এই ধাঁধার চরকে পর্যটন শিল্পে বিকাশ ঘটানো গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাথে এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের ও সৃষ্টি হবে।তাই এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।

বাঁচাও শীতলক্ষ্যা নদী আন্দোলনের সমন্নয়ক মাহবুব সৈয়দ নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সীমিত আয়তনের এদেশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতির ব্যবস্থা। প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরপুর সবুজ-শ্যামল ধাঁধার চরটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কৃষি পর্যটন ও নদী পর্যটনের জন্য অনন্য একটি স্থান হবে। এখানকার প্রকৃতি-পরিবেশ ঠিক রেখে কৃষি ও নদী পর্যটন এবং প্রকৃতি পর্যবেক্ষনকেন্দ্র গড়ে তুললে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসতেন। পাশাপাশি এ অঞ্চলের উন্নয়নসহ বহু লোকের কর্মসংস্থানের পথও সৃষ্টি হতো।নদীটি দখলবাজদের হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পেতো।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD