1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

হু হু করে ধেয়ে আসছে পানি, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
  • ১৬৭ পাঠক

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন-
শনিবার,১৩ জুলাই ২০১৯:
উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে তিস্তা পারের লোকজনদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করছে পাউবো। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পরেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫৩ দশমিক ০৪ সেন্টিমিটর। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সে.মি.) বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় ও ৩টায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিন ঘণ্টা পরে তা বেড়ে রাত ৯টায় ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ওই ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ডালিয়া ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি চরম পর্যয়ে উঠেছে। নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে সতর্কতা জারি করেছে পাউবো।

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত পাঁচ দিনের ভারি বৃষ্টি। এতে উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে বুধবার (১০ জুলাই) দিনগত মধ্যরাত থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। ভারি বৃষ্টিতে কিছু পরিবার মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) দুপুর থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নৌকা বা ভেলা ছাড়া চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধেয়ে আসছে পাহাড়ি ঢল। এতে বড় সমস্যায় পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা।

এ বন্যায় হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিঙ্গিমারী, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। স্থানীয়দের দাবি ভয়াবহ এ বন্যায় উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী এলাকার ব্রিজ কালভার্ট ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। হাতীবান্ধার গড্ডিমারী তালেব মোড়ের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চরম ঝুঁকিতে। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে শঙ্কিত স্থানীয়রা। বন্যায় ভেসে যাচ্ছে শত শত পুকুরের মাছ। নষ্ট হয়েছে চাষিদের বাদাম, ভুট্টা ও সবজিসহ নানান ফসল। পানি প্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তিস্তার তীরবর্তী মানুষ।

চরাঞ্চলের পানিবন্দি খেটে খাওয়া মানুষগুলো শিশুখাদ্য ও নিরাপদ পানির সমস্যায় পড়েছেন। টানা চার দিন পানিবন্দি থাকার পর শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে কিছু কিছু এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। চারদিকে অথৈ পানির কারণে জ্বালানি সংকটে রান্না করা যাচ্ছে না। এজন্য শুকনো খাবার পৌঁছানোর দাবি করেছে পানিবন্দি পরিবারগুলো। তবে সরকারিভাবে শুকনা খাবার মজুদ না থাকায় তা বিতরণ করা হয়নি।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর গড্ডিমারী গ্রামের সাইদুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, এমন বন্যা তো দেখিনি। পানি শুধু বেড়েই চলেছে। ঘর বাড়ি রাস্তা ঘাট সর্বত্রই পানি আর পানি। দীর্ঘ সময় পানিতে থাকায় বাড়ির অনেকেই জ্বর সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। বাজারে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা শিশুদের সিরাপও পাওয়া যাচ্ছে না। সংকট দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন তিস্তা নদীর অববাহিকায়। তিস্তায় সামান্য পানি বাড়লেই কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ত্রাণের জন্য ২৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিছু এলাকায় ত্রাণের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে সব ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে ত্রাণের চাল।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার আলী হায়দার জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার বন্যা কবলিতদের ত্রাণ দিতে জেলা প্রশাসন থেকে ১১০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার বিতরণও শুরু হয়েছে। শুকনো খাবারের প্যাকেট পর্যাপ্ত না থাকা তা দেওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি প্রবাহ রাত ৯টায় বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। ভারতের গজলডোবা ব্যারেজে পানি প্রবাহ বিপদসীমা অতিক্রম করায় ক্রমেই বাড়ছে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ। বন্যার অবনতি থেকে চরম অবনতি ঘটতে পারে বলে নদী তীরবর্তীদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD