নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার,২২ জুলাই ২০১৯: নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগ কমিটির পদস্থ ব্যক্তি বিশেষের মতানৈক্যে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি ইসহাক খলিল বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম রিমনের মুখোমখি অবস্থানে চলছে পাল্টপাল্টি কমিটির উৎসব। এর স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে নরসিংদী সরকারী কলেজ শাখা, মাধবদী শহর শাখা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে। এগুলোর প্রতিটিই এক সপ্তাহ থেকে মাসের ব্যবধানে গঠিত হয়েছে। সাংগঠনিক রীতি নীতির তোয়াক্কা না করে কোন রকম কাউন্সিল ছাড়াই রাতের আঁধারে গঠিত হচ্ছে এসব কমিটি। এ নিয়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনার ঝড়। ২২ জুলাই গভীর রাতে তিনটি ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এতে রয়েছে জেলা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি ইসহাক খলিল বাবু’র একক স্বাক্ষর। এর আগে গত ১৪ জুলাই নরসিংদী সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম রিমন ও সভাপতি বাবু’র স্বাক্ষর থাকলেও তার স্বাক্ষরটি নকল বলে নরসিংদী সদর মডেল থানার একটি সাধারণ ডায়েরী করেন বাবু।
তবে বাবু’র স্বাক্ষর নকল প্রমাণিত হলে ছাত্রলীগ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক রিমন। এদিকে একক স্বাক্ষরে কমিটি গঠন করায় বাবুকে মানসিক ভারসাম্যহীন উল্লেখ করে ছাত্রলীগ কারো পৈতৃক সম্পত্তি না বলেও মন্তব্য করে রিমন।
কমিটি প্রসঙ্গে ইসহাক খলিল বাবু নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, বিগত সময়ে সাধারণ সম্পাদক রিমন সভাপিতর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কমিটি গঠন করেছে। অন্যদিকে বাবু কারো সাথে জালিয়াতি না করে প্রগতিশীল ও প্রকৃত ছাত্রদের দ্বারা গঠিত তিনটি কমিটির অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে এ নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান চায় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক কর্মীরা। সেইসাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বের বিষয় অবগত হওয়া অতি জরুরী বলে মনে করেন তারা।