নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯:
পরিবহনে চাঁদাবাজের অভিযোগে নরসিংদী সদরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাব -১১ বিশেষ অভিযানে ৫ শীর্ষ চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে। র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আলেপ উদ্দিন এক প্রেস রিলিজ এ খবর জানান। তিনি আরো জানান নরসিংদীতে চাঁদাবাজি রুখতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। র্যাব -১১ এর অনুসন্ধানে চাঁদাবাজি সংক্রান্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য গত ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে দিবাগত রাতে নরসিংদী সদর থানাধীন নতুন বাস টার্মিনাল, মুক্তিচত্বর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কালে পাঁচ চাঁদাবাজ আসামীদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো নরসিংদী শহরের তেলিকুনা পাড়ার পিতা মৃত: খান সাহেবের ছেলে নব মুসলিম সোহেল খান (৪৫) (মুসলিম হওয়ার আগের পরিচয় অপন কুমার সাহা পিতা অনীল কুমার সাহা), নরসিংদী পৌর শহরের উত্তর সাটিরপাড়া শাপলা চত্বর এলাকার মৃত ইউসুফ খানের ছেলে জান্নাত হোসেন (৫০), কাউরিয়া পাড়ার ইউনুস মিয়ার ছেলে মোঃ স্বপন মিয়া (৩৫),ভাগদী এলাকার মৃত: কাওছার খানের ছেলে মো. সাহেদ খান (১৯), মৃত চুন্নু আলমের ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৪৩)। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ৬৫ হাজার ৭শ’ ২০ টাকা, ৬টি মোবাইল ফোন ও বিপুল পরিমান চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়।
প্রেস রিলিজে আরো এ জানানো হয়, উপস্থিত সাক্ষী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদী সদর উপজেলার নতুন বাস টার্মিনাল, মুড়ি চত্বর এলাকায় চলাচলরত বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিক্সা, লেগুনা, টেম্পু, ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক ইত্যাদি থেকে গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক চালকদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে। আটককৃত আসামিরা এরুপ অপতৎপরতা পূর্বে থেকেই করে আসছে মর্মে স্বীকার করে। তাদের অত্যাচারে যানবাহনের চালক ও ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও স্থানীয় চালক ও জনসাধারণের কাছ থেকে আরো জানা যায় যে, কোন চালক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধরসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। আটককৃতরা উক্ত চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য। চাঁদাবাজ বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।