1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

১৩ বছরের মেয়েকে পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৯
  • ২০৩ পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার। নরসিংদী প্রতিদিন –
শুক্রবার ০৩ আগস্ট ২০১৯:
নরসিংদীর শিবপুরের ১৩ বছরের মেয়েকে পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্মম নির্যাতনের এই ঘটনাটি গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবারের বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামে। ধর্ষকদের বাঁচাতে দেড়লাখ টাকায় ঘটনাটি মিমাংশার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই জনপ্রতিনিধি গত এক সপ্তাহ ধরে ওই মেয়ের পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছেন। পরে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের হস্তক্ষেপে ওই মেয়ের বাবা গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় পাঁচজনকে আসামী করে শিবপুর থানায় মামলা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে এসেছিল ১৩ বছরের মেয়েটি। সেখানে ওত পেতে থাকা তিনজন তার মুখ চেপে ধরে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায়। একটি বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে সেখানে পাঁচজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে বিবস্ত্র, রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় আরেকটি বাড়ির রান্নাঘরে ফেলে পালিয়ে যায় ওই ধর্ষকেরা।
নির্যাতিত ওই মেয়ের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের বিরাজনগর গ্রামে। পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে মেয়েটি লেখাপড়া করছে না। সারাদিন বাড়িতেই খেলাধুলা করে সময় কাটে তার। বাবা পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালক।

এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামী হলেন, শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামের মো. সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৪৫) ও মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে মো. কাজল মিয়া (৫৫) এবং বিরাজনগর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে মো. হযরত আলী (৪৫), মো. রাজু মিয়ার ছেলে মো. সেলিম মিয়া (৩৫) ও মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৫)।

এজাহারে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন রাতে গান শুনতে সৃষ্টিগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়েছিলাম। রাত তিনটার দিকে আমার ছোটভাই ফোন করে জানায়, আমার এইটুকু মেয়েকে নাকি মেরে ফেলা হচ্ছে। আমার ছোটভাইকে এই বিষয়টি ফোনে জানান আসামী কাজল। রাত সাড়ে ৪টার দিকে পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে বিবস্ত্র, রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ওই বাড়ির রান্নাঘরে ফেলে রাখা হয়েছে। ওই সময় সে বাড়িতে কেউ ছিল না। তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সুস্থ্য হয়ে সে আমাদের জানায়, ওই দিন রাতে জাকির, হযরত ও কাজল মিলে মুখ চেপে তাকে তুলে নিয়ে যায় কাজল মিয়ার বাড়িতে। সেখানে পাঁচজন মিলে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে রাত তিনটায় সবাই মিলে তার অচেতন শরীরটা জাকিরের বাড়ির রান্নাঘরে এনে ফেলে রাখে। পরে সবাই এই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী ও নির্যাতিত ওই মেয়ের বাবা জানান, লোকলজ্জার ভয়ে ও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ঘটনাটি গোপন রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লোক জানাজানি হয়ে যাওয়ায় কোন কিছু ভেবে না পেয়ে ঘটনার দুইদিন পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ঘটনা খুলে বলি। ইউপি চেয়ারম্যান তরুণ মৃধা আমাকে তখন বলেন, খুব দেরি হয়ে গেছে, এখন তো আর থানায় মামলাও নেবে না। আমিই বিষয়টি মিমাংশা করে দেব। পরে ৩১ তারিখে চেয়ারম্যান জানান, তিনি আর মিমাংশা করতে পারবেন না। থানায় বা কোর্টে গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, বাঘাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরুণ মৃধা এই ঘটনাটি দেড় লাখ টাকায় মিমাংশা করতে চেয়েছিলেন। এর জন্য বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকাও তিনি তুলেছেন। অতিরিক্ত সময়ক্ষেপন করে আসামীদের বাঁচিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে পুলিশ ঘটনাটি জেনে আসামীদের বাড়িতে তল্লাসী চালায়। অথচ তখনও ভুক্তভোগী পরিবারটিকে থানায় এসে মামলা করাতে উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ। কারণ জাকির ও হযরত পুলিশের স্থানীয় সোর্স বলে স্থানীয়রা জানান। গত সোমবার পুলিশ তল্লাশী চালানোর সময় অভিযুক্ত সেলিমের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার সিএনজিটি থানায় নিয়ে আসে। অন্যদিকে শুক্রবার র্যাব ১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন ঘটনা জেনে নির্যাতিত মেয়েটিকে ও তার বাবাকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে তাদের কাছে ঘটনার বিবরণ শুনে মামলা করার জন্য শিবপুর থানায় পাঠান। পরে ওই রাতেই মামলা নেয় পুলিশ।

এই বিষয়ে জানতে বাঘাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরুণ মৃধার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। প্রতিবারই তার মুঠোফোন দুটো বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ওই ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু সিদ্দিক মুঠোফোনে জানান, আমরা ঘটনা জেনেছি গত সোমবার এলাকায় পুলিশ আসার পর। এই ঘটনায় আপোষ মিমাংশার কোন চেষ্টা আমরা করি নি।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এই ঘটনায় ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আসামীদের সবাই পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিকভাবে আপোশ মিমাংশার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি এমন চেষ্টা করে থাকেন তারাও অপরাধ করেছেন।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD