নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
০৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ২০১৯:
নরসিংদীর পলাশে একরাতে তিন বাড়িতে ডাকাতের হানা ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ডাকাতের হাতে মানসিক প্রতিবন্ধী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলো,উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের ইসমাইলের ছেলে সোহরাব (২০), খোকনের ছেলে জুয়েল (২৩), কাদের মেম্বারের ছেলে সুজন (২২), বিল্লালের ছেলে ইয়ামিন (১৮) ও জাকিরের ছেলে ইয়ামিন (২২) ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ওসি বলেন, এদের মধ্যে ৩ জন এ হত্যাকান্ডে ও ডাকাতির ঘটায় জড়িত থাকার বিষয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদুর রজমান নাহিদের এর আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি এ ঘটনায় ৯ জন প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষ ভাবে অংশ গ্রহণ করে। এদের মধ্য সেকান্দরদী গ্রামের আনিসুরের ছেলে শাকিল (২৫), ফজলেলু রহমানের ছেলে নাঈম (২২), মাইনুউদ্দিনের ছেলে মিঠু (২৫) ও শিবপুর উপজেলার মোল্লা মার্কেট এলাকার ফিরুজের ছেলে নাহিদ (১৮) পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে ও জানান ওসি ।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ সেপ্টেম্বর সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম বিজয় (২২) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে তার নিজ বাড়িতে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে ডাকাত দলের সদস্যরা। ডাকাতের হাত থেকে বিজয়কে বাঁচাতে গেলে তার বাবা বেলায়েত হোসেনকে ও নির্মম ভাবে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। এ ঘটনার ২০ মিনিট আগে একই গ্রামের ওয়াব মিয়ার ছেলে অটো চালক ফারুক (৩০) ঘর থেকে বের হতে চাইলে তার বাড়িতে হানাদেয় ডাকাতরা। তাকে ও ছুড়ি দিয়ে নির্মম ভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায় ডাকতরা। পরে পাশের বাড়ির কাদির মিয়া স্ত্রী তাছলিমা (৪৬) এর কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এ ঘটনার পর দিন পলাশ থানায় একটি হত্যা ও একটি ছিনতাই মামলা হয়। এদিগে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তিও দেখা দিয়েছে।