আড়াইহাজার প্রতিনিধি : বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। কণের অতিথিদের খাওয়া-দাওয়ার পর্বও শেষ পর্যায়ে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বরের জন্য অপেক্ষা। বরযাত্রীও পথিমধ্যে। তবে বাল্য বিয়ে হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ উজ্জল হোসেন। একই সঙ্গে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেই সাথে নোটারী পাবলিকের একটি হলফ নামা জব্দ করা হয়।
রোববার দুপুরে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের চারগাঁও মেরারটেক গ্রামে এ বিয়ে বন্ধ হয়।
এভাবেই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উজ্জল হোসেনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল জান্নাতুল ফেরদাউস (১৪ ) নামের এক স্কুল ছাত্রী।
জান্নাতুল ফেরদাউস (১৪ ) ওই গ্রামের আব্দুল কাদিরের মেয়ে এবং পুরিন্দা কে এম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মেরারটেক গ্রামের আব্দুল কাদিরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসের সাথে নরসিংদীর পলাশ থানার ভাগদী গ্রামের হাফিজউদ্দিনের ছেলে রিয়াদ হোসেনের সাথে গত সপ্তাহে বিবাহ ঠিক করা হয়। রোববার এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে উপলক্ষে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ উজ্জল হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাড়িতে হাজির হন। তারা সেখানে গিয়ে কনের বাবা-মা এবং পরিবারের সকলকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করলে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা মেয়ের বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা দেন। এদিকে বিয়ে বাড়িতে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষের লোকজন পথিমধ্য থেকে ফিরে যান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উজ্জল হোসেন আরো জানান, নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দেয়া প্রক্রিয়া সরকার ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউসের বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই কনের পরিবারকে দশ হাজার টাকা জরিমানাসহ মুচলেকা নেয়া হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি ।