খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন –
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ : নরসিংদী থেকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সাভারের আশুলিয়ায় নিয়ে গিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ ও দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবদী থানা পুলিশ। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শিবলী কায়েস মীর নরসিংদী প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় রোববার অপহরণকারী দলের মূল হোতাসহ ৫ জনকে আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ৫ অক্টোবর শনিবার ওই কিশোরীকে মাধবদী থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের দরগাবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর ছেলে সুজন (২৭) ও তার সহযোগী একই থানার সাতগ্রাম গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬), ময়মনসিংহ সদর থানার রহমতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো: ফয়সাল মিয়া (২০), লালমনিরহাট সদরের চরকুলাঘাপ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আছাদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিশাত মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা।
পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পরিবার জানান, ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে দরগাবাড়ি এলাকার সড়ক থেকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত অপহরণকারী চক্র। চারদিন পর ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাবার মোবাইলে ফোন করে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
অন্যথায় মেয়েকে মেরে ফেলার বলে হুমকি দেয়া হয়। মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে গত ১২ অক্টোবর এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন তার পিতা। মামলা করার পর মুক্তিপণ দাবী করা মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিশ। পরে রুবেল নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এসে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আটককৃত রুবেলের দেওয়া তথ্যমতে সাভারের গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আছাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপহরণকারী দলের মূলহোতা সুজন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং করে নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে সুজনকেও গ্রেফতার করা হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে রোববার সন্ধ্যায় নরসিংদীর দ্রুত আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।