খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন –
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯ : নরসিংদীর মাধবদীতে ফজুরকান্দী গ্রাম থেকে কুলসুম (২৩) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কুলসুম মাধবদী পৌর শহরের বিরামপুর মহল্লার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। প্রায় দেড় বছর আগে কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের ফজুরকান্দী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সুলেমান (২৬) এর সাথে নিকাহ হয়। পরে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্মনেয়। কুলসুম তার দুই মাসের শিশু সন্তানকে রেখে পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছে এ কথা মেনে নিতে পাড়ছে না নিহতর পরিবার।
নিহত কুলসুমের বাবা ইুদ্রিস আলীর অভিযোগ তার বিবাহের সময় যৌতুক বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল। কুলসুম ছয় মাসের গর্ভাবস্থার সময় এ যৌতুকের টাকার জন্য দ্বন্দ্ব হয় তার শাশুড়ি ও স্বামী সুলেমানের সাথে, পরে বাপের বাড়িতে চলে আসে কুলসুম। এর মিমাংশার পর পুনরায় শ্বশুর বাড়ীতে চলে যায় কুলসুম। তারপরও টাকার জন্য প্রায় সময় কুলসুমকে নির্যাতন করত তার স্বামী সুলেমান। গত দেড় মাসে আগেও তার পায়ে স্বামীর নির্যাতনের চিহ্ন দেখিয়ে ছিল কুলসুম।
কুলসুম চির বিদায় নিয়ে চলে গেছে এটা আত্ম হত্যা না হত্যা এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানান নিহতর স্বজনরা। এদিকে ঘটনার পর থেকে সুলেমান সহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
মাধবদী থানার পুলিশ নরসিংদী প্রতিদিনকে জানায়, কুলসুমের স্বামী সুলেমানে সঙ্গে ফজুরকান্দীর বাড়িতে একটি টিনসেট বিল্ডিং ঘরে থাকতেন। রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে খবর পেয়ে তাদের কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় কুলসুমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহর সুরতহাল দেখে রাত সাড়ে ১০টায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তিনি বলেন এ সময় নিহত কুলসুমের স্বামী ও তার স্বজনদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, কোনো মানসিক হতাশা থেকে কুলসুম আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।